—প্রতীকী ছবি।
দৈনন্দিন জীবনে নিজেদের অজান্তেই আমরা এমন কিছু কাজ করে ফেলি যার ফলে নানা গ্রহের কোপের মুখে পড়তে পারি। এগুলিরই মধ্যে একটি হল রাহু। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কিছু অভ্যাস রয়েছে যা আমাদের জীবনকে নরকসম করে তুলতে পারে। সেই অভ্যাসগুলি আমাদের শীঘ্রই ত্যাগ করা উচিত। এর ফলে আমরা জীবনে গ্রহের কুপ্রভাব থেকে বাঁচতে পারব। নানা সমস্যার হাত থেকেও রেহাই পাব।
কোন অভ্যাসগুলো বদলালে জীবনে গ্রহের সুপ্রভাব আসতে পারে?
১) ঘরে পুজোর জায়গা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। এই জায়গায় সর্বদা শুভ শক্তি বিরাজ করে। পুজোর স্থান অপরিষ্কার রাখলে কেবল শুভ শক্তির পরিমাণই কমবে না, অশুভ শক্তির সঞ্চারও বৃদ্ধি পাবে। এমনটা হলে রাহুর কুপ্রভাবের শিকার হতেই হবে।
২) অনেকেই আছেন যাঁরা ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানা গোছান না। এর ফলে কর্মজীবনে উন্নতিতে বাধা হয়। ঘুম থেকে ওঠার পর বাসি বিছানা সব সময় গুছিয়ে রাখা উচিত।
৩) বাইরে থেকে এসে সঙ্গে সঙ্গে হাতমুখ ধুয়ে ফেলা উচিত। এ রকমটা না করলে জানবেন আপনি নিজেই নিজের দুর্ভাগ্যকে বয়ে আনছেন।
৪) বাড়িতে গাছ রয়েছে কিন্তু তাতে প্রতি দিন জল দেন না, এতেও রাহুর কুপ্রভাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। প্রতি দিন গাছে জল দিলে জীবনে খুব একটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।
৫) বাইরে থেকে এসে জুতো যেখানে-সেখানে খুলে রাখলে জানতে হবে জীবনে পদে পদে সমস্যা সৃষ্টি হতে চলেছে। এ রকম করলে মানুষের অসম্মানের পাত্র হতে হয় এবং শত্রুর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। জুতো সর্বদা একটি নির্দিষ্ট স্থানে খুলে, গুছিয়ে রাখা উচিত।
৬) অনেকেই আছেন যাঁরা বাথরুম ব্যবহার করার পর তা নোংরা রেখেই বেরিয়ে যান। ভেজা জামাকাপড় ছড়িয়ে বাথরুমে ফেলে রাখেন। এর প্রভাবে কোষ্ঠীতে চন্দ্রের স্থান দুর্বল হতে থাকে। ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
৭) জুতোয় শব্দ করে হাঁটলে রাহুর কুপ্রভাবে পড়তে হয়। হাঁটার সময় যেন জুতোয় শব্দ না হয় সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে।
8) খাওয়ার পর টেবিলে এঁটো বাসন ফেলে রাখার অভ্যাস অত্যন্ত খারাপ। এতে রাহু ও শনিদেবের কুনজরের শিকার হতে হয়। খাবার পর এঁটো বাসন সঙ্গে সঙ্গে তুলে নিতে হয়।
৯) রাহুর ও কালসর্প দোষের হাত থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে অতিথি এলে তাঁকে সবার প্রথম এক গ্লাস ঠান্ডা জল দিয়ে আপ্যায়ন করুন।
১০) অনেকেই আছেন যাঁদের একটু সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুমোনো অভ্যাস, এই অভ্যাস দ্রুত ত্যাগ করুন। এতে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত রুষ্ট হন।