—প্রতীকী ছবি।
কোনও মানুষের জীবনই একই ছন্দে চলে না। জীবনে চলার পথে ছন্দপতন হওয়া সাধারণ বিষয়। অনেক সময় মানুষ নিজেই নিজের পরিস্থিতির জন্য দায়ী হয়। আবার কখনও পারিপার্শ্বিক অবস্থার জন্য সমস্যায় পড়তে হয় অনেককে। সে ক্ষেত্রে সর্বদা নিজেদের পক্ষে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ওঠা সম্ভব হয় না। অপরের সাহায্যের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু কিছু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা চট করে অপরের সাহায্য নিতে বা চাইতে পারেন না। অনেকে তা পছন্দও করেন না। নিজেদের কোনও ভুল মেনে নিতেও সমস্যা হয় এঁদের। শাস্ত্র জানাচ্ছে, রাশিচক্রের তিন রাশির মানুষদের মধ্যে এই প্রকার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য অন্যদের তুলনায় বেশি। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কারা রয়েছে সেই তালিকায়।
কোন তিন রাশির মানুষেরা মাথা নত করেন না?
মেষ: রাশিচক্রের প্রথম রাশি মেষের জাতক-জাতিকাদের আত্মসম্মান বোধ অত্যন্ত বেশি। এঁরা নিজেদের সম্মান রক্ষার স্বার্থে কোনও বিশেষ সুযোগ হারাতেও কুন্ঠাবোধ করেন না। কাছের মানুষ থেকে পছন্দের চাকরি, নিজেদের সম্মান রক্ষার্থে এঁরা সব কিছু ছেড়ে দিতে এক পায়ে রাজি থাকেন। মেষ রাশির জাতক-জাতিকাদের আত্মসম্মান বোধ এতটাই বেশি যে, লোকসমাজে নিজেদের ভুলও স্বীকার করতে পারেন না এঁরা।
সিংহ: সূর্যের রাশি সিংহের তেজও সূর্যসম। এঁরা কোনও পরিস্থিতিতে কারও সামনে মাথা নত করেন না। এঁরা চান সকলে এঁদের তোষামোদ করে চলুক। সিংহ রাশির ব্যক্তিরা আত্মসম্মান ও অহঙ্কারের মধ্যে ফারাক রেখে চলতে পারেন না। তাই জটিল পরিস্থিতিতেও কারও কাছে সাহায্য চাইতে এঁদের বুক ফেটে যায়। এঁরা মনে করেন, নিজের সমস্যা নিজে সমাধান করে নেওয়ার মধ্যেই বীরত্ব লুকিয়ে। অপরের কাছে সাহায্য চাওয়াকে ছোট হিসাবে দেখেন সিংহ রাশির জাতক-জাতিকারা।
মকর: মকর রাশির জাতক-জাতিকারাও অত্যন্ত দাম্ভিক হন। এই রাশির ব্যক্তিরা মনে করেন, তাঁরা যা করবেন সেটাই ঠিক, বাকি সবাই ভুল। সেই ভাবনার উপর ভর করে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতেও কারও থেকে পরামর্শ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেন না এঁরা। মকর জাতক-জাতিকাদের আত্মসম্মান বোধ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অপরের কাছে আত্মঅহঙ্কার রূপে প্রকাশ পায়। কিন্তু তাতে কিছুই যায় আসে না এঁদের। শনির রাশি মকর নিজের দুনিয়াতে থাকতেই ভালবাসে।