বিশ্বকর্মা পূজার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি

মহাভারত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলের শিল্পকলার দেবতা। সকল দেবতার প্রাসাদ, সকল প্রকার অলঙ্কারের নির্মাতা। বিবরণ অনুযায়ী তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট, হাতে জলের কলস, বই, দড়ির ফাঁস ও অপর হাতে একটি যন্ত্র।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০৫
Share:

শিল্পী ও নির্মাতাদের দেবতা বিশ্বকর্মা। ব্রহ্মা-পুত্র বিশ্বকর্মাই গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেন। ঈশ্বরের প্রাসাদের নির্মাতাও বিশ্বকর্মা। দেবতাদের রথ ও অস্ত্রও তৈরি করেছিলেন এই বিশ্বকর্মাই। মহাভারত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা হলের শিল্পকলার দেবতা। সকল দেবতার প্রাসাদ, সকল প্রকার অলঙ্কারের নির্মাতা। বিবরণ অনুযায়ী তাঁর চার বাহু, মাথায় রাজার মুকুট, হাতে জলের কলস, বই, দড়ির ফাঁস ও অপর হাতে একটি যন্ত্র। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বিশ্বকর্মা দেবতাদের শিল্পী। তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত। বৃহস্পতির ভগিনী যোগসিদ্ধা তাঁর মাতা এবং অষ্টম বসু প্রভাস তাঁর পিতা। বিশ্বকর্মার বাহন হাতি।

Advertisement

বিশ্বকর্মা বৈদিক দেবতা, ঋগবেদের দশম মণ্ডলে ৮১ এবং ৮২ সূক্তদ্বয়ে বিশ্বকর্মার উল্লেখ আছে। ঋগবেদ অনুসারে তিনি সর্বদর্শী এবং সর্বজ্ঞ। তাঁর চক্ষু, মুখমণ্ডল, বাহু ও পদ সব দিকে পরিব্যাপ্ত। তিনি বাচস্পতি, মনোজব, বদান্য, কল্যাণকর্মা ও বিধাতা অভিধায় ভূষিত। তিনি ধাতা, বিশ্বদ্রষ্টা ও প্রজাপতি।

আরও পড়ুন: প্রায় সব বছরই বিশ্বকর্মা পুজো কেন ১৭ সেপ্টেম্বরই হয়

Advertisement

বিশ্বকর্মা পূজার ধ্যানমন্ত্র:

দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ। বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক।। ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।

বিশ্বকর্মা পূজার কীর্তি ও স্থাপত্য:

বিশ্বকর্মা লঙ্কা নগরীর নির্মাতা। তিনি বিশ্বভুবন নির্মাণ করেছেন। বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, কুবেরের অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকেয়র শক্তি প্রভৃতি তিনি তৈরি করেছেন। শ্রীক্ষেত্রর প্রসিদ্ধ জগন্নাথ মূর্তিও তিনি নির্মাণ করেছেন। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তির দিন বিশ্বকর্মার পূজা করা হয়। কারখানায় এই পূজার প্রচলন সর্বাধিক। তবে স্বর্ণকার, কর্মকার এবং দারুশিল্প, স্থাপত্যশিল্প, মৃৎশিল্প প্রভৃতি শিল্পকর্মে নিযুক্ত ব্যক্তিরাও নিজ নিজ কর্মে দক্ষতা অর্জনের জন্য বিশ্বকর্মার পূজা করে থাকেন।

এখন জেনে নেওয়া যাক ১৪২৬ সনের বিশ্বকর্মা পূজার নির্ঘণ্ট ও সময়সূচি (বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত ও গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে):

বিশুদ্ধ সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে:

(অন্যান্য দেবদেবীদের পূজা নির্ভর করে চাঁদের গতিপ্রকৃতির উপর। তবে বিশ্বকর্মা পূজা নির্ভর হয় সূর্যের গতিপ্রকৃতির উপর।)

বাংলা তারিখ: ৩১ ভাদ্র ১৪২৬, মঙ্গলবার।

ইং তারিখ: ১৭/০৯/২০১৯।

সময়: বেলা ১২টা ০৩ মিনিটের পর। (রবি কন্যায় সংক্রমণ)

গুপ্তপ্রেস পঞ্জিকা মতে:

(অন্যান্য দেবদেবীদের পূজা নির্ভর করে চাঁদের গতিপ্রকৃতির উপর। তবে বিশ্বকর্মা পূজা নির্ভর হয় সূর্যের গতিপ্রকৃতির উপর।)

বাংলা তারিখ: ৩১ ভাদ্র ১৪২৬, বুধবার।

ইং তারিখ: ১৮/০৯/২০১৯।

সময়: বেলা ১১টা ৩১ মিনিটের মধ্যে। (রবি কন্যায় সংক্রমণ আগের দিন রাত্রির শেষ ভাগে)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন