হস্তমুদ্রায় স্বাস্থ্যোন্নতি

কথিত আছে, হস্তরেখায় মানুষের সমগ্র জীবনের প্রতিচ্ছবি থাকে। জীবনের শুরু, সফরের বিরতি, হৃদয় স্পন্দন, মনের গতিপ্রকৃতি- সমস্ত কিছুই হস্তমুদ্রা থেকেই জানা সম্ভব।

Advertisement

পার্থপ্রতিম আচার্য

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০০:০০
Share:

কথিত আছে, হস্তরেখায় মানুষের সমগ্র জীবনের প্রতিচ্ছবি থাকে। জীবনের শুরু, সফরের বিরতি, হৃদয় স্পন্দন, মনের গতিপ্রকৃতি- সমস্ত কিছুই হস্তমুদ্রা থেকেই জানা সম্ভব।

Advertisement

মানুষের শরীররূপী যন্ত্র ঈশ্বরের এক অদ্ভুত সৃষ্টি। প্রাচীন মুনি ঋষিরা শরীর ও মনের শক্তিকে অনুধাবন করেছিলেন এবং শরীরকে সুস্থ ও আয়ুপূর্ণ করে রাখবার জন্য সাংখ্য, যোগ, আয়ুর্বেদ, হস্তমুদ্রা, অধ্যাত্ম, নৃত্য, সঙ্গীত ইত্যাদি বিষয়ে অনুসন্ধান করেছিলেন এবং নিজেরাই তার প্রথম প্রয়োগ শুরু করে দীর্ঘায়ু হয়েছিলেন। আলোচ্য বিষয় তাঁদের আবিস্কৃত সেই হস্তমুদ্রারূপী সঞ্জীবনী শক্তির সম্পর্কেই।

আমরা এ কথা জানি যে, মানুষের শরীর পঞ্চতত্ত্বের সমন্বয়ে গঠিত। এই পঞ্চতত্ত্ব হল জল, পৃথ্বী, আকাশ, বায়ু, অগ্নি। আমাদের এক একটি হাতও পাঁচটি আঙ্গুলের সমন্বয়ে গঠিত। এই পাঁচটি আঙ্গুল পঞ্চতত্ত্বেরই দ্যোতক। আমরা হাতের আঙ্গুল -গুলিকে পরস্পর স্পর্শ করে বিভিন্ন রকম মুদ্রা সৃষ্টি করি, যার ফলে শরীরের যার ফলে শরীরে সেই পঞ্চতত্ত্বের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়। আঙ্গুলের বিশেষ বিশেষ স্থিতিকেই মুদ্রা বলা হয়। এই মুদ্রাগুলিকে পদ্মাসন, সিদ্ধাসন, বজ্রাসন বা সুখাসনে বসে প্রয়োগ করা উচিত। আধ ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত মুদ্রা প্রয়োগ করা সম্ভব। একেবারে না করে দু’তিন বারেও হস্তমুদ্রা করা যেতে পারে। এই মুদ্রাগুলি করবার সঙ্গে যদি আপনি আপনার আহার বিহারের ওপরেও নজর দিতে পারেন, তা হলে শীঘ্রই আপনি তার সুফল ভোগ করতে পারেন। অনেক রকম মুদ্রা প্রচলিত আছে। তেমনই দু’টির উল্লেখ করা হল।

Advertisement

আরও পড়ুন: মিথুন লগ্নের জাতক-জাতিকারা কেমন হয় জেনে নিন

বরুণ মুদ্রা

কনিষ্ঠাঙ্গুলী ও বৃদ্ধাঙ্গুলীর অগ্রভাগ পরস্পর স্পর্শ করতে হবে, অন্যান্য আঙ্গুলগুলি সোজা অবস্থায় থাকবে। এই মুদ্রাটির মাধ্যমে জলের অভাবজনিত সমস্ত রোগ দূর হয়, রক্ত পরিষ্কার হয়, ত্বকের রুক্ষতা দূর করে ত্বককে স্নিগ্ধ ও উজ্জ্বল করে তোলে এবং ব্রণজাতীয় সমস্যা দূর করে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।

পৃথ্বী মুদ্রা

এই মুদ্রা পৃথ্বীতত্ত্বের সঙ্গে যুক্ত। অনামিকা ও বৃদ্ধাঙ্গুলীর অগ্রভাগ পরস্পরের সঙ্গে সংযুক্ত করুন। অন্যান্য আঙ্গুল সোজা রাখুন। এই মুদ্রার দ্বারা শরীর পুষ্ট ও সতেজ হয়। দুর্বল ব্যক্তির শক্তির উন্মেষ হয়। ওজন এবং স্ফূর্তি বাড়ে, মানসিক বিচারে পরিবর্তন আসে। এই মুদ্রা রোগীর স্বাস্থ্যোন্নতি ঘটায় এবং দৌর্বল্য দূর করে। আরও একটি অত্যন্ত জরুরী বিষয় হল এই মুদ্রার দ্বারা কর্ণ রোগ উপশম হয়, হৃদরোগেরও লাভদায়ক হয়। তবে মনে রাখবেন রোগ দূর হলে এই মুদ্রা অভ্যাস করা উচিত নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন