শ্রী যন্ত্র শিব-শিবার বিগ্রহ। ‘নিত্য- ষোড়শিকার্ণব’ অনুসারে সর্বপ্রথম শ্রী চক্রেরই আবির্ভাব হয়েছিল। তন্ত্রশাস্ত্রে ভগবতী ত্রিপুরাসুন্দরীর যাবতীয় মহত্ত্ব বর্ণিত আছে এবং তন্ত্র সাধনার ক্ষেত্রেও শ্রী যন্ত্র সাধনার বিশেষ মহত্ত্ব আছে। তান্ত্রিক মতে এই যন্ত্রোপসনা পদ্ধতির বিশদ বিবরণ আছে। সেখানে বলা হয়েছে, শ্রী যন্ত্র সাধনায় মানুষের সম্পূর্ণ জীবন সমর্পণ করতে হয়। সেই কারণে এই সাধনাই মানব জীবনের পরম লক্ষ্য।
এখন বিশিষ্ট শ্রী যন্ত্র সম্পর্কে কিছু সাধারণ, সর্বজনবোধ্য তথ্য দেখে নেওয়া যাক:
যৌগিক শ্রী যন্ত্র: যৌগিক শ্রী যন্ত্রকে সর্বপেক্ষা লাভপ্রদ বলা হয়। নয়টি যন্ত্রের সমন্বয়ে এই যন্ত্র প্রস্তুত হয়। স্ফটিক, পারদ, অষ্টধাতু প্রভৃতির মাধ্যমে এই যন্ত্র নির্মিত হয়।
স্ফটিক শ্রী যন্ত্র: লক্ষ্মীদেবীর সবচেয়ে প্রিয় এই যন্ত্র জাদুকরী শক্তিসম্পন্ন। চমকপ্রদ এই যন্ত্রের উপাসনায় যেমন অতুল ধনপ্রাপ্তি ঘটে, তেমনই এক মাসের কর্ম এক লহমায় সুসম্পন্ন হতে পারে। বর্ণ, জাতি, নির্বিশেষে এই যন্ত্র মানুষকে অকল্পনীয় বৈভব প্রদান করে। হতাশাগ্রস্ত মানুষের পক্ষে এই যন্ত্র আশীর্বাদ স্বরূপ। অন্তরের নিরাশা দূর করে এই যন্ত্র মানব জীবনের প্রভূত উন্নতি সাধন করে। ক্রোধ বা ইন্দ্রিয়কে সংযত করতে ও এই যন্ত্র বিশেষ উপকারী।
শ্রী যন্ত্র হল আশীর্বাদস্বরূপ, গাণিতিক পরিমাপে এবং শক্তি সমৃদ্ধিতে বিস্ময় উদ্রেককারী ‘শ্রী যন্ত্রম্’। প্রকৃতপক্ষে শ্রী যন্ত্রের রহস্য যে গূঢ় ও জটিল তা প্রকৃত জ্ঞানী মাত্রেই জানেন।