মানবজীবনে শত্রুদের ক্রিয়াকলাপের বিভিন্ন ক্ষেত্র থাকে। এমনিতে আমরা সর্বক্ষণই শত্রুবেষ্টিত। তবে যে শত্রুরা আমাদের সার্বিক ক্ষতি করতে পারে, তাদের সম্বন্ধে জানার প্রয়োজন আছে। প্রথমেই আসছি এক জাতকের বাল্যকালের জীবনে। জীবনের দু’টি দিক থাকে- একটি বন্ধুদের ক্ষেত্র এবং অন্যটি শিক্ষার ক্ষেত্র। এখন যত দিন অবধি একটি জাতক কর্মক্ষেত্রে না প্রবেশ করে ততদিন ধরে নেওয়া যাক যে তার এই দুটো ক্ষেত্রই থাকে।
প্রথমে আসা যাক শিক্ষার ক্ষেত্রে। অনেক সময় দেখা যায়, একটি ছাত্র হয়তো লিখছে ভাল, উত্তরও ঠিকঠাক দিচ্ছে, কিন্তু শিক্ষক বা শিক্ষিকা তাকে কম নম্বর দিচ্ছেন। অভিভাবকরা সতর্ক হলে উত্তরপত্র নিয়ে শিক্ষক/শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁকে উত্তর সম্বন্ধে কনভিন্স করে নম্বর বাড়িয়ে ঠিক করে নেন। আর যদি অভিভাবক উদাসিন হন, তখন দেখা যায় যে, ছাত্রটি ধীরে ধীরে পড়ার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। তার একটা ধারণা তৈরি হয় যে, সে খারাপ ছাত্র এবং সে যতই চেষ্টা করুক বা পড়ুক তার দ্বারা ভাল নম্বর তোলা সম্ভব নয়।
আবার অনেক ক্ষেত্রে এও দেখা যায় যে, ছাত্রের অভিভাবকের সঙ্গে ব্যক্তিগত ঝগড়া থাকার কারণে হয়তো ছাত্রটি শিক্ষক/শিক্ষিকার কুনজরে পড়ছে। এমনও শোনা যায় যে, কোনও কোনও শিক্ষক/শিক্ষিকা সেই সব ছাত্রদেরই পাশ করান, যারা তার ব্যক্তিগত শিক্ষাকেন্দ্রটিতে ভর্তি হয়। যাই হোক, এহেন শত্রুতা সৃষ্টিকারী গ্রহটা হল বৃহস্পতি।
আরও পড়ুন: ছোটবেলায় বন্ধুরা কখন শত্রুতা করে
যদি দেখা যায় যে----
১। বৃহস্পতি ষষ্ঠ পতি হয়ে দুঃস্থাপনস্থ।
২। চতুর্থ পতির সঙ্গে একাদশ পতির বৈরী সম্বন্ধ।
৩। বৃহস্পতি ষষ্ঠ স্থানে।
৪। নবম পতি ষষ্ঠ পতির সঙ্গে যুক্ত।
উপরিউক্ত ক্ষেত্রগুলো ছাড়াও আরও অনেক কিছু আছে বা থাকে, যার থেকে গুরুর শত্রুতার নির্দেশ পাওয়া যায়। তবে সব থেকে জরুরি, এক্ষেত্রে বৃহস্পতির অবস্থানের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া এবং নবম পতির অবস্থানকে বিচার করা।