ফাইল চিত্র।
সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় এলে শুধুমাত্র কবরস্থানের উন্নতি হবে আর বিজেপি ক্ষমতায় এলে অনেক বেশি রামমন্দির হবে। তখনও তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু তাঁর উত্তরপ্রদেশের প্রাক নির্বাচনী প্রচার ভরে ছিল এমনই বিতর্কিত ঘোষণায়। তবে এই প্রথম নয়, তাঁর রাজনৈতিক জীবন আগাগোড়াই এমনই বহু বিতর্কিত মন্তব্যে জর্জরিত। সেই কট্টরবাদী নেতাকেই উত্তরপ্রদেশের তখ্তে বসাল বিজেপি। তিনি আর কী কী মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন দেখে নিন:
• ২০১৫ সালে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের কইরানা থেকে ২৫০ হিন্দু পরিবারকে উৎখাতের খবর প্রকাশ্যে আসে। এর পরে আসরে নামেন যোগী আদিত্যনাথ। বলেন, ‘‘যোগী আগামীকালের কথা বলছে না। যোগী ভবিষ্যতের কথা বলছে। হিন্দু পরিবারের উৎখাত আমাদের জন্য বিপজ্জনক হতে চলেছে। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশকে আর একটা কাশ্মীর হতে দেবে না বিজেপি।’’
• সমাজবাদী পার্টির শাসনকালে আগামী আড়াই বছরে ৪৫০টি দাঙ্গার ঘটনা ঘটবে। কারণ, সমাজবাদী পার্টির শাসনকালে কোনও নির্দিষ্ট একটি জাতির বাড়বাড়ন্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
• ২০১৫ সালে লোকগণনার তথ্য প্রকাশ হওয়ার পরে তিনি বলেন, ‘‘মুসলিমদের জন্যই গণতন্ত্রের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।’’
• ওই বছরই বারাণসীর একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে বলেন, ‘‘যারা সূর্য নমস্কার করে না তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত কিংবা সমুদ্রে ডুবিয়ে মারা উচিত। আর তা না হলে বাকি জীবনটা তাদের অন্ধকার ঘরে বন্দি করে রাখা উচিত।’’
আরও পড়ুন: নাটকের অবসান, উত্তরপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ
• শুধু মুসলিম ধর্মকেই নয়, খ্রিস্টানদের সম্পর্কেও বিতর্কিত মন্তব্য করেন যোগী। মাদার টেরিজার প্রসঙ্গ টেনে এনে এক জনসভায় তিনি বলেছিলেন, ‘‘ভারতীয়দের খ্রিস্টান করার পিছনে মাদার টেরিজার ষড়যন্ত্র রয়েছে। ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সেবা করার নামে হিন্দুরা তাই ধর্ম পরিবর্তন করে নিচ্ছে।’’
• ২০১৬ সালে অসহিষ্ণুতা নিয়ে মন্তব্য করায় তাঁর নিশানায় পড়েছেন বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানও। ‘‘শাহরুখ খানের মনে রাখা উচিত যে মানুষ তাঁর ফিল্ম বয়কট করলে রাস্তায় ঘুরে-বেড়ানো আর পাঁচ জন মুসলিমের সঙ্গে তাঁর কোনও পার্থক্য থাকবে না। শাহরুখের মতো লোকজনের ভাষা সন্ত্রাসবাদীদের মতো। হাফিজ সইদের সঙ্গে তাঁর ভাষার কোনও তফাৎ নেই’’, বলেছিলেন যোগী।