—প্রতীকী চিত্র।
দিল্লির নামী স্কুলে ছাত্রের মৃত্যুতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দশম শ্রেণির ছাত্র শৌর্য পাটিলের মৃত্যু সেইসঙ্গে বহু প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। শৌর্যের বাবা প্রদীপের দাবি, আর ১০ দিন পরেই ছেলেকে অন্য স্কুলে ভর্তি করাতেন। কিন্তু তার আগেই ছেলেকে হারাতে হল তাঁদের। বুধবার মেট্রো স্টেশনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে শৌর্য। কয়েক জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে গিয়েছে সে। ইতিমধ্যেই চার শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
শৌর্যের বাবা বলেন, ‘‘ছেলেটা অভিনয় করতে ভালবাসত। সিনেমার স্ক্রিপ্ট লিখত ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে। আমাকে বলেছিল, স্নাতক পাশ করার পর মুম্বইয়ে অভিনয়ের স্কুলে ভর্তি হবে। নাচতেও খুব ভালবাসত।’’ তাঁর অভিযোগ, ছেলে আত্মহত্যা করার চার দিন আগে স্কুলের শিক্ষকেরা তাকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছিলেন। শৌর্যের সহপাঠীরাও দাবি করেছে, তার সঙ্গে কয়েক জন শিক্ষক খুব খারাপ আচরণ করতেন। ছোট ছোট বিষয়ে বকাঝকা, অপমান করতেও ছাড়তেন না। আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগেও এক শিক্ষক নাচ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করেন বলে অভিযোগ।
শৌর্যের বাবা বলেন, ‘‘ছেলে ঘুরতে ভালবাসত। চিনে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের। শৌর্য সকলের সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যেত। তাই ক্লাসে সকলেই ওকে খুব ভালবাসত। ওর মধ্যে একটা সৃষ্টিশীল সত্তা ছিল। মঙ্গলবার স্কুলে যাওয়ার আগে আইক্রিম এনেছিল। মাকে বলে গিয়েছিল রাতে বাইরে থেকে খাবার আনিয়ে সকলে মিলে খাবে।’’ নাচের অনুষ্ঠানের জন্য মঙ্গলবার মহড়া চলছিল। কিন্তু শৌর্য পড়ে গিয়ে পায়ে চোট পেয়েছিল বলে জানান প্রদীপ। নাচতে পারবে না বলে শিক্ষককে জানিয়েছিল। কিন্তু তাতেও শিক্ষক শৌর্যকে অপদস্থ করেন বলে অভিযোগ। তার পরই মেট্রো স্টেশন থেকে শৌর্যের দেহ উদ্ধার হয়।