10% quota for poorer

উচ্চবর্ণের জন্য ১০ শতাংশ সংরক্ষণ বিল পাশ লোকসভায়

সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চবর্ণ বা ‘জেনেরাল ক্যাটেগরি’তে আর্থিক ভাবে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁদের জন্য এই বিলের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন লোকসভার ৩২৩ জন সদস্য

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ২৩:৩৩
Share:

লোকসভায় পাস হল সংরক্ষণ বিল।

উনিশের লোকসভা ভোটই পাখির চোখ নরেন্দ্র মোদী সরকারের। উচ্চবর্ণ বা ‘জেনারেল ক্যাটেগরি’-র পিছিয়ে পড়া অংশের জন্য সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এবার লোকসভায় পাশ হল সেই বিল।

Advertisement

সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে উচ্চবর্ণ বা ‘জেনারেল ক্যাটেগরি’তে আর্থিক ভাবে যাঁরা পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁদের জন্য এই বিলের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন লোকসভার ৩২৩ জন সদস্য, বিরোধিতা করেছেন ৩ জন, এমনটাই জানান লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।

বুধবার বিলটি পেশ করা হবে রাজ্যসভায়। মঙ্গলবার লোকসভায় বিলটি পেশ করেন কেন্দ্রীয় সামাজিক ন্যায় ও ক্ষমতায়ন মন্ত্রী তাওয়ার চন্দ গহলৌত। ৫৪৩ সদস্যের লোকসভায় ৩২৩টি ভোট পড়েছে বিলের পক্ষে। বিপক্ষে পড়েছে ৩টি ভোট।

Advertisement

আরও পড়ুন: অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে বিল পাশ লোকসভায়, উত্তেজনা উত্তর-পূর্বে​

এদিন সাড়ে চার ঘণ্টা ধরে উচ্চবর্ণের সংরক্ষণ বিলটি নিয়ে বিতর্ক চলে লোকসভায়। বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, বিলটি সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওযার সম্ভাবনা রয়েছে।

এর পর তাওয়ার চন্দ গহলৌত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির সমর্থন চান। গহলৌতের দাবি, সংবিধান অবজ্ঞা করেই ১০ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেছিল নরসিংহ রাও সরকার। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্য ও নীতি স্বচ্ছ, দেরিতে হলেও এই বিল আনা হয়েছে। তাই সংবিধানের নিয়ম মেনেই সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ভোট শুরুর আগেই তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও দরিদ্র ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষ যাতে সুবিধা পান, তাই এই বিল আনা হচ্ছে’’। অন্য দিকে, তামিলনাড়ুর শাসক এআইডিএমকে জানায়, সংরক্ষণ কখনওই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্য নয়, সংরক্ষণ সামাজিকভাবে পিছিয়ে পড়া শ্রেণির জন্যই হওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: ‘রাফাল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না’, সুপ্রিম কোর্টের রায় হাতিয়ার করে তোপ রাহুলের

এআইডিএমকে নেতা থাম্বিদুরাই হাউস থেকে ওয়াক আউটের আগে বলেন, ‘‘দরিদ্রদের জন্য সরকারের বেশ কিছু প্রকল্প রয়েছে। সেই প্রকল্প ব্যর্থ হওয়ার কারণেই এ জাতীয় বিল আনতে হচ্ছে মোদী সরকারকে।’’

এআইএমআইএম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়াইসি অভিযোগ করেন, ‘‘সংবিধান ঠকানো এই বিল। বিলটির মাধ্যমে বাবা সাহেব অম্বেদকরের অপমান করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে বিলটি খারিজ হয়ে যাবে।’’

বিলটি যে সুপ্রিম কোর্টের বাধার মুখে পড়বে না, সেই আশ্বাস দিয়ে অরুণ জেটলি বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪ ও ১৫ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হয়েছে।সরকারি চাকরি ও শিক্ষাক্ষেত্রে দেশের সব নাগরিকদেরই সমান সুযোগ পাওয়া উচিত বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন