Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Citizenship Amendment Bill

অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে বিল পাশ লোকসভায়, উত্তেজনা উত্তর-পূর্বে

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (২০১৬) আইনে পরিণত হলে বদলে যাবে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন। সে ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় হিংসার শিকার হয়ে কেউ ভারতে পালিয়ে এলে আশ্রয় দেবে ভারত। মিলবে ভারতের নাগরিকত্বও। যদিও এই সুবিধা পাবেন শুধু মাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং পার্সি ধর্মের মানুষেরা।

বিলের প্রতিবাদ অসমের ডিব্রুগড়ে। অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।

বিলের প্রতিবাদ অসমের ডিব্রুগড়ে। অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের বিক্ষোভ। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদন
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৯ ১৯:৪৮
Share: Save:

পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে বিল পাশ হল লোকসভায়। অমুসলিম শরণার্থীদের তালিকায় রাখা হয়েছে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, শিখ এবং খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষদের। এই বিল আইনে পরিণত হলে প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় হিংসার শিকার হয়ে কেউ ভারতবর্ষে থাকার আবেদন করলে মিলবে এ দেশের নাগরিকত্ব। এই বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কেন্দ্রের কড়া বিরোধিতায় সরব হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনৈতিক দলগুলি।

সোমবার এই বিতর্কিত বিল নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের সমালোচনায় এনডিএ ছেড়েছে অসমের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল অসম গণ পরিষদ (অগপ)। যদিও সেই বাধা অগ্রাহ্য করেই মঙ্গলবার লোকসভায় এই বিলটি পাশ করাল মোদী সরকার। অসমের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, এই বিল পাশ হওয়ার ফলে বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ পার্শ্ববর্তী অসম-সহ গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে আশ্রয় নেবেন। অর্থাৎ, ১৯৭১ সালের মার্চের পরে ভারতে এলেও শরণার্থীরা পেয়ে যাবেন ভারতীয় নাগরিকত্ব। সে কারণেই ওই রাজনৈতিক দলগুলির দাবি, এই বিল ১৯৮৫ সালের অসম অ্যাকর্ডের বিরোধী। সে কারণেই বিলটি শুরু থেকেই অসমের ওই রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সংবেদনশীল। অসমের বিভিন্ন জনগোষ্ঠী বহিরাগতদের নিজস্ব এলাকায় আশ্রয় দিতে বরাবরই নিজেদের বিরোধিতার কথা বলেছে প্রকাশ্যেই। মঙ্গলবার এই বিলের বিরুদ্ধে অসমের রাস্তায় নামে অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, অসম গণ পরিষদ, এআইইউডিএফ সহ আরও বেশ কয়েকটি দল। তাঁদের বিক্ষোভে প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় অসমের জনজীবন।

বিলটি নিয়ে বিতর্কের সময় লোকসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘সারা দেশের কথা মাথায় রেখেই এই বিল। উত্তর-পূর্ব ভারত এবং অসমের কথাও ভাবা হয়েছে।’’

আরও পড়ুন: বিজেপির কুম্ভ কৌশল! মতুয়া মহাসঙ্ঘকে প্রয়াগে আমন্ত্রণ আদিত্যনাথের

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (২০১৬) আইনে পরিণত হলে বদলে যাবে ১৯৫৫ সালের ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন। সে ক্ষেত্রে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে প্রতিবেশী দেশগুলিতে ধর্মীয় হিংসার শিকার হয়ে কেউ ভারতে পালিয়ে এলে আশ্রয় দেবে ভারত। মিলবে ভারতের নাগরিকত্বও। যদিও এই সুবিধা পাবেন শুধু মাত্র হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, শিখ এবং পার্সি ধর্মের মানুষেরা।

আরও পড়ুন: ‘রাফাল থেকে প্রধানমন্ত্রীকে কেউ বাঁচাতে পারবে না’, সুপ্রিম কোর্টের রায় হাতিয়ার করে তোপ রাহুলের

বিষয়টি নিয়ে লোকসভায় সরব হন কংগ্রেস ও বাম সাংসদেরা। তাঁদের দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলে ভারতীয় নাগরিকত্বের সঙ্গে ধর্মের যোগ তৈরি হবে, যা দেশের সাংবিধানিক কাঠামোর বিরোধী।

(ভারতের রাজনীতি, ভারতের অর্থনীতি- সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদের দেশ বিভাগে ক্লিক করুন।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE