পাথর সমেত পিত্তথলি। —ফাইল চিত্র।
সিটি স্ক্যানে পিত্তথলিতে পাথরের উপস্থিতি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি চিকিৎসকেরা। তবে স্ক্যান করা ছবিতে একটু অস্বাভাবিক তো লেগেই ছিল। পিত্তথলি জুড়ে এমন ভারী কিছু জমিয়ে বসেছিল যে পিত্তথলি আকারে দ্বিগুণ হয়ে ঝুলে পড়েছিল। উত্তরপ্রদেশের মথুরার বাসিন্দা ৪৬ বছরের বিনোদ শর্মার পিত্তথলির অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকদের। ভারী ওই বস্তুটি আর কিছুই নয়, প্রায় ১২ হাজার ছোট ছোট পাথর। কোনওটার আকৃতি ডিম্বাকার তো কোনওটা গোলাকৃতি। টানা তিন দিন ধরে গোনার পর যে সংখ্যাটা দাঁড়ায় ১১ হাজার ৮১৬।
বিনোদবাবু বছর দুয়েক ধরেই অসম্ভব পেটের ব্যাথায় কাতরাচ্ছেন। অনেক ডাক্তার-বদ্যি করেও পেটের ব্যাথার কোনও সুরাহা হয়নি। শেষে মথুরার সাওয়াই মান সিংহ হাসপাতালের চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। কী কারণে পেটের ব্যাথা তা জানতে প্রায় সমস্ত রকম পরীক্ষাই করানো হয়। সিটি স্ক্যানে পিত্তথলির অস্বাভাকিতা ধরা পড়ে। আকারে দ্বিগুণ হয়ে ঝুলে পড়েছিল সেটি। অস্ত্রোপচার করার পর দেখা যায় পিত্তথলির অস্বাভাবিকতার কারণ আসলে ২ থেকে ২.৫ মিলিমিটারের ১১ হাজারেরও অধিক গলস্টোন। একটি ১০ সেন্টিমিটারের পিত্তথলির মধ্যে এক সঙ্গে এতগুলো পাথরের উপস্থিতি এর আগে দেখা যায়নি।
কী ভাবে এ রকম হল তা জানতে ল্যাবরেটরিতে ওই পাথরের নমুনা পাঠানো হয়েছে।