দেবেন্দ্র ফডণবীসের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর। ছবি: সংগৃহীত।
ছত্তীসগঢ়ের বস্তারের পরে এ বার মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ। শনিবার গঢ়চিরৌলি জেলায় একসঙ্গে ১২ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীসের সামনে! পুলিশ জানিয়েছে, আত্মসমর্পণকারীদের মাথার মোট দাম ১ কোটি টাকারও বেশি! ছত্তীসগঢ় সীমানা লাগোয়া কাওয়ান্দে গ্রামের কাছে হয় এই আত্মসমর্পণ কর্মসূচি। কর্মসূচিতে ফডণবীস বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক আত্মসমর্পণের ঘটনাপ্রবাহ প্রমাণ করছে সশস্ত্র নকশালপন্থী কার্যকলাপ আস্থা হারাচ্ছে, শীঘ্রই মহারাষ্ট্র মাওবাদীমুক্ত হবে।’’
প্রসঙ্গত, গত বছর বিধানসভা ভোটে বিজেপি জোটের জয়ের পরে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভে ধারাবাহিক ভাবে আত্মসমর্পণ করছেন মাওবাদী নেতা-নেত্রীরা! গত জানুয়ারিতে গঢ়চিরৌলীতেই নিষিদ্ধ সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র কমান্ডার তথা দণ্ডকারণ্য জোনাল কমিটির নেত্রী বিমলা চন্দ সিদাম ওরফে তারাক্কার নেতৃত্বে ১১ জন মাওবাদী নেতা-কর্মী আত্মসমর্পণ করেছিলেন। সম্পর্কে বিমলা ২০১১-য় পশ্চিমবঙ্গে নিহত মাওবাদী নেতা মাল্লোজুলা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজির ভ্রাতৃবধূ। তাঁর স্বামী মাল্লোজুলা বেণুগোপাল রাও ওরফে ভূপতি ওরফে বিবেক ওরফে সোনু মাওবাদী পলিটব্যুরোর সদস্য।
ফডণবীস শনিবার জানান, গত ১৮ মাসে মহারাষ্ট্রে ২৮ জন মাওবাদী নিহত হয়েছেন, ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ৪৪ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। যা একটি রেকর্ড। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণা মতোই ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ মাওবাদীমুক্ত হবে বলে দাবি করেন তিনি। অন্য দিকে, যৌথবাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানের মধ্যেই শুক্রবার ছত্তীসগঢ়ের দান্তেওয়াড়ায় ৭ জন মাওবাদী জঙ্গি আত্মসমর্পণ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে, জুগলু ওরফে সুন্দুম কাওয়াসি দশা ওরফে বুরকু পোডিয়ামের জন্য ৫০,০০০ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল।