National

ছররায় মৃত বালক, ফের উত্তাল কাশ্মীর, জারি হল কার্ফু

ফের ছররার আঘাতে মৃত্যু কাশ্মীরি বালকের। নিমেষে উত্তাল উপত্যকা। পরিস্থিতি সামলাতে আবার কার্ফু জারি শ্রীনগরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০১৬ ২০:১৮
Share:

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বিক্ষোভকারীদের। শ্রীনগরে শনিবার। ছবি: পিটিআই।

ফের ছররার আঘাতে মৃত্যু কাশ্মীরি বালকের। নিমেষে উত্তাল উপত্যকা। পরিস্থিতি সামলাতে আবার কার্ফু জারি শ্রীনগরে।

Advertisement

জুনেইদ আহমেদ নামে ১২ বছরের যে বালকের মৃত্যু হয়েছে, তার বাড়ি শ্রীনগরের শহরতলি সইদপুরা এলাকায়। শুক্রবার ওই এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ বেধেছিল বিক্ষোভকারীদের। পুলিশ সূত্রের খবর, জুনেইদ আহমেদ কোনও বিক্ষোভের অংশ ছিল না। সংঘর্ষ চলাকালীন সে নিজের বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় পেলেট গান থেকে ছুটে আসা এক ঝাঁক ছররা বিঁধে যায় জুনেইদের মুখে, মাথায় এবং বুকে। গুরুতর জখম অবস্থায় জুনেইদকে শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়।

পুলিশ সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পেলেট গান চালানো হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ছররা জুনেইদের গায়ে লাগে।

Advertisement

শেষকৃত্যের মিছিল থেকে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস। ছবি: এপি।

পুলিশের এই সাফাইতে ক্ষোভ চাপা দেওয়া যায়নি। হাসপাতাল থেকে জুনেইদের দেহ সইদপুরের বাড়িতে পৌঁছতেই তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। জম্মু-কাশ্মীরের শাসক দল পিডিপি-ও এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। কী ভাবে জুনেইদ আক্রান্ত হল, তার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে দলের তরফে। এই ঘটনার জন্য যে বা যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে শাসক দলের তরফে। বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্স অবশ্য এই ঘটনার জন্য সরকারকেই দায়ী করেছে।

শ্রীনগরের কেন্দ্রীয় ইদগাহ ময়দানের কাছে অবস্থিত কবরস্থানে জুনেইদের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় মিছিল করে। ছররার আঘাতে নিরীহ বালকের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে তুমুল স্লোগান ওঠে। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে সেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। তাতেও বেশ কয়েকজন জখম হন। বিক্ষোভ অবশ্য নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। তাই ফের কার্ফু জারি করা হয়েছে শ্রীনগরে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন