ভারতের জেলেই থাকতে চান ১৩ অনুপ্রবেশকারী

সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়লেন মহিলা ও শিশু-সহ কয়েক জন বাঙালি। বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা ও আক্রমণের জেরে আরও অনেক সংখ্যালঘু মানুষ ভারতে পালিয়ে আসতে পারেন বলে সতর্ক বিএসএফ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৬ ০৩:০৮
Share:

সীমান্ত পার করে ভারতে ঢোকার সময় বিএসএফের হাতে ধরা পড়লেন মহিলা ও শিশু-সহ কয়েক জন বাঙালি। বাংলাদেশে অসহিষ্ণুতা ও আক্রমণের জেরে আরও অনেক সংখ্যালঘু মানুষ ভারতে পালিয়ে আসতে পারেন বলে সতর্ক বিএসএফ।

Advertisement

বিএসএফ সূত্রে খবর, দক্ষিণ গারো হিল সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানরা গত রাতে তিনটি পরিবারের ১০ জন-সহ মোট ১৩ জনকে আটক করেন। ধৃতরা জানান, বাংলাদেশের গ্রামে অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তাঁরা পালিয়ে এসেছেন। ১২ জনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা মিলেছে। ছিল দু’টি মোবাইল ফোন। ধৃতদের স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

গত বছর ভারত সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্রে ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে ভারতে পালিয়ে আসা হিন্দুদের শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়া নিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলেও, তা আইন না হওয়ায় সকলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা জানিয়েছেন, তাঁরা অসম হয়ে কোচবিহারে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেখানে তাঁদের আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিতেন। বিএসএফ ও পুলিশ প্রথমে ধৃতদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর (পুশ ব্যাক) চেষ্টা করে। কিন্তু ধৃতরা জানান, গ্রাম ছেড়ে পালানোর কথা জানাজানি হয়ে গিয়েছে। তাই সেখানে ফিরলেই তাঁদের আক্রমণ করা হবে। তার চেয়ে ভারতে পুলিশের হেফাজতে থাকা ভাল। বিএসএফ সূত্রে খবর, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার ও ঢাকায় হামলার জেরে সীমান্তে টহলদারি বাড়ানো হয়েছে। ধুবুরি, করিমগঞ্জ-সহ সব সীমান্ত চৌকিকে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশও কাছাড়, করিমগঞ্জ, হাইলাকান্দি, ধুবুরি, গোয়ালপাড়া, চিরাং, কোকরাঝাড়, বাক্সা, বরপেটা, নলবাড়ি, দরং, কামরূপ, নগাঁও জেলায় অতিরিক্ত সতর্কতা নিয়েছে।

Advertisement

এ দিকে, বাংলাদেশের জঙ্গি হানা ও হিন্দুদের উপর অত্যাচারের অভিযোগে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অসম আন্দোলনের অন্যতম মাথা মহন্ত। তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশের যা অবস্থা তাতে সে দেশ ছেড়ে হিন্দুরা ভারতে ঢোকার চেষ্টা করবেনই। সে ক্ষেত্রে বরাবরই তাঁদের সব চেয়ে সুবিধা অসমে ঢোকা।
কেন্দ্র এই অনুপ্রবেশকারীদের শরণার্থীর মর্যাদা দেবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিলেও, কোনও আইন বানায়নি। বিজ্ঞপ্তির কথা বাংলাদেশিরাও জানেন। তাই তাঁরা অসমে ঢোকার চেষ্টা করবেন। এতে রাজ্যের উপরে চাপ বাড়তেই থাকবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement