Maruti Riot and Murder Case

মারুতির ম্যানেজার হত্যাকাণ্ডে ১৩ জনের যাবজ্জীবন

মারুতি সুজুকির কারখানায় হামলা এবং ম্যানেজারকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৩১ জনের মধ্যে ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল হরিয়ানার গুরুগ্রামের আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ১৭:৪১
Share:

মারুতি সুজুকির কারখানায় হামলা এবং ম্যানেজারকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ৩১ জনের মধ্যে ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল হরিয়ানার গুরুগ্রামের আদালত। চার জনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে চার বছরের জেল খাটা হয়ে গিয়েছে। দোষী সাব্যস্ত বাকি ১৪ জন ইতিমধ্যেই যত দিন জেল খেটে ফেলেছেন তা সাজা হিসেবে যথেষ্ট বলে রায় দিয়েছে আদালত। দোষীরা প্রত্যেকেই মারুতি-সুজুকির মানেসর প্ল্যান্টের কর্মী। দিল্লির প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ওই প্ল্যান্টে ২০১২ সালে এক দল শ্রমিকের হাতে আক্রান্ত হয়েছিলেন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্তারা। কনফারেন্স রুমের মধ্যে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার অবনীশ কুমার দেবের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে চলতে থাকা তাণ্ডবে ম্যানেজমেন্টের অন্তত ৫০ জন কর্তা জখম হয়েছিলেন, আক্রান্ত হয়েছিল পুলিশও। গত ৯ মার্চ ১৪৮ জন অভিযুক্তের মধ্যে ৩১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। বাকি ১১৭ জনকে খালাস করে দেওয়া হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: সমীক্ষা বলছে দেশের ৬০ শতাংশ ইঞ্জিনিয়ারই বেকার

মারুতি সংস্থা প্রতি বছর যে পরিমাণ গাড়ি তৈরি করে, তার এক তৃতীয়াংশই তৈরি হয় মানেসরের প্ল্যান্টে। ২০১২ সালের বেনজির গোলমালের পর সেই মানেসর প্ল্যান্ট মাস খানেকের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিল মারুতি কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগকে ঘিরে গোলমালের সূত্রপাত হয়েছিল। ম্যানেজমেন্টের অভিযোগ ছিল, যে কোনও আলোচনার সময়েই শ্রমিক ইউনিয়ন সংস্থার পদস্থ কর্তাদের আক্রমণ করত। পরিস্থিতি শৃঙ্খলাভঙ্গের পর্যায়ে যাচ্ছিল বলে ম্যানেজমেন্ট মনে করছিল। তাই কঠোর পদক্ষেপের কথা ভাবা হয়েছিল। সে সব নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে মানেসর প্ল্যান্টে শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল।

Advertisement

সেই অসন্তোষই শেষ দিনে তাণ্ডবের চেহারা নেয়। লোহার রড এবং নির্মিয়মান গাড়ির দরজার প্যানেল নিয়ে হামলা চালান শ্রমিকরা। হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারকে পুড়িয়ে মারা হয়। সুপারভাইজার এবং অন্য পদস্থ করাদের খুঁজে বার করে হামলা চালানো হয়। গোটা কারখানা চত্বর জুড়ে ভাঙচুর চলে, জায়গায় জায়গায় আগুনও গালিয়ে দেওয়া হয়। ১২০০ পুলিশ পাঠিয়ে কারখানা নিয়ন্ত্রণে এনেছিল প্রশাসন। তবে ৯ জন পুলিশ কর্তাও সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন। ম্যানেজমেন্টের য়ে ৫০ জন কর্তাকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছিল, তাঁদের অধিকাংশই রক্তাক্ত ছিলেন, অনেকেই অচেতনও ছিলেন।

শ্রমিকদের অবশ্য দাবি ছিল, ম্যানেজমেন্টের ভাড়াটে বাউন্সাররা প্ল্যান্টের সমস্ত দরজা বন্ধ করে দিয়ে শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল। সেখান থেকেই নাকি গোলমালের সূত্রপাত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন