Narendra Modi

Partition of India: ১৪ অগস্টকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা মোদীর

মোদী বলেন, “এই বিভাজন বিভীষিকা দিবসই আমাদের মনে করিয়ে দেবে সামাজিক বিভাজন এবং অনৈক্যের বিষ ছুড়ে ফেলা উচিত।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২১ ১২:২৫
Share:

ফাইল চিত্র।

দেশ ভাগের ‘ভয়াবহতা’কে স্মরণীয় করে রাখতে ১৪ অগস্টকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

শনিবার সকালে টুইট করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশ ভাগের যে যন্ত্রণা, সেই স্মৃতি কখনও ভোলা যায় না। হিংসার কবলে পড়ে আমাদের বহু ভাইবোন ঘরছাড়া হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের সেই সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগকে স্মরণ করেই ১৪ অগস্টকে ‘বিভাজন বিভীষিকা স্মৃতি দিবস’ দিবস হিসেবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

সামাজিক বিভাজন, হানাহানির যে স্মৃতি দেশবাসীর মনে গেঁথে গিয়েছে, সেই বিভাজন, হানাহানি থেকে দেশকে মুক্ত করতে এবং ঐক্যের বাতাবরণ গড়ে তুলতেই এই দিনটিকে স্মরণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই বিভাজন বিভীষিকা দিবসই আমাদের মনে করিয়ে দেবে সামাজিক বিভাজন এবং অনৈক্যের বিষ ছুড়ে ফেলা উচিত।” মোদীর কথায়, “ঐক্যের বাতাবরণ গড়ে তুলে সমাজকে আরও মজবুত করার পথে এগোতে হবে।”

Advertisement

১৯৪৭ সালের ১৪ অগস্ট দেশভাগ হয়েছিল। আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম হয়েছিল ভারত এবং পাকিস্তানের। ১৪ অগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করে পাকিস্তান। আর সেই দেশভাগের দিনকেই ‘বিভীষিকা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করলেন মোদী।

বিভাজন বিভীষিকা দিবস নিয়ে মোদীর টুইটের পরই কা নিয়ে রাজনীতি সরবগরম হয়ে উঠেছে। তৃণমূল নেতা নির্বেদ রায় বলেন, “খুব পরিষ্কার করে দেশবাসী জানে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিটিক্স-এর শেষ জায়গায় গিয়ে ইংরেজ পাকিস্তানকে ভাগ করে। তখন পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করতে গিয়েছিলেন মহাত্মা গাঁধী। তিনি ঘোষণা করেছিলেন পাকিস্তানে যাবেন। যখন গাঁধীজি সেই চেষ্টা করছেন তখন তাঁকে নাথুরাম গডসে গুলি করে হত্যা করেন। হিন্দু মহাসভা, জনসঙ্ঘ এবং আজকে যারা নরেন্দ্র মোদীর দল তারা গাঁধীজিকে হত্যা করেন। সেই লোকগুলো এটি পালন করবে সেটাই তো স্বাভাবিক। তাঁরাই তৈরি করেছে, তাঁরাই সেটা পালন করার জন্য উগ্র ভূমিকা নিচ্ছে। ইংরেজদের দালালদের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কী আশা করা যায়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন