Tripura Detention Centre

ত্রিপুরায় ‘ডিটেনশন সেন্টার’ থেকে পালালেন ১৮ জন বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশের জন্য গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ১৮ জনের বয়স ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে। কয়েক দিন আগে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৫৩
Share:

ত্রিপুরায় ‘ডিটেনশন সেন্টার’ থেকে পালিয়ে গেলেন ১৮ জন বাংলাদেশি। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

ত্রিপুরায় ডিটেনশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গেলেন ১৮ জন বাংলাদেশি। অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁদের। রাখা হয়েছিল পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার নরসিংহগড়ের একটি ডিটেনশন সেন্টারে। সম্প্রতি তাঁদের দেশে ফেরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তার আগেই ডিটেনশন সেন্টার থেকে চম্পট দিলেন তাঁরা।

Advertisement

শনিবার ত্রিপুরা পুলিশের তরফে এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। তবে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ দায়ের করেন ত্রিপুরার সমাজকল্যাণ এবং সামাজিক শিক্ষা দফতরের অধীনস্থ রাজ্য ডিটেনশন সেন্টার কর্তৃপক্ষ। তার পরেই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সর্বত্র তল্লাশি চালিয়ে ওই ১৮ জনকে খোঁজার চেষ্টা চলছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ওই ১৮ জনের বয়স ১৮ থেকে ৪০-এর মধ্যে। কয়েক দিন আগে অবৈধ ভাবে ভারতে ঢোকার অভিযোগে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

কয়েক দিন আগেই উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর জেল থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন ছয় বন্দি। এক নিরাপত্তাকর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে চম্পট দেন তাঁরা। পরে যদিও দু’জনকে ফের গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু বাকি চার জনের খোঁজ এখনও মেলেনি।

Advertisement

অবৈধ ভাবে ভারতে ঢুকে পড়া বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করতে বিভিন্ন রাজ্যকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বহু বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাংলা ভাষায় কথা বললেই ‘বাংলাদেশি’ বলে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে বিজেপিশাসিত ত্রিপুরার এই ঘটনা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ত্রিপুরার সঙ্গে বাংলাদেশের ৮৫৬ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে। স্থানীয় নানা সমস্যার কারণে দীর্ঘ সীমান্তের বহু জায়গাতেই কাঁটাতার নেই। ফলে সে রাজ্যে অনুপ্রবেশের সমস্যা নতুন নয়। কিন্তু ডিটেনশন সেন্টার থেকে বাংলাদেশের বন্দিদের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ত্রিপুরা সরকারের অস্বস্তির কারণ হল বলেই মনে করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement