শশীর ধাক্কা, রিসর্টে বন্দি ১৯ বিধায়ক

শশিকলার জেলে যাওয়া, সেই সঙ্গেই তাঁর অনুগত নেতা পলানীস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চেন্নাইয়ের বাইরে একটি রিসর্টে বন্দি করে রাখা হয়েছিল এডিএমকে-র বিধায়কদের। অনেক নাটকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হন পলানীস্বামী।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৭ ০৩:২৪
Share:

শশিকলার ভাইপো টিটিভি দিনকরণ

নতুন সঙ্কট তামিলনাড়ুতে। এডিএমকে-র দুই শিবিরের মিলনের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বিদ্রোহ ঘোষণা করলেন শশিকলা-ঘনিষ্ঠ ১৯ জন বিধায়ক। রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পলানীস্বামীকে সরানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা। আজ পলানীস্বামী সরকারকে এই ধাক্কা দিয়েই অনুগত বিধায়কদের নিয়ে চেন্নাই ছেড়ে অজ্ঞাত ঠিকানার একটি রিসর্টে ঘাঁটি গেড়েছেন শশিকলার ভাইপো টিটিভি দিনকরণ। মহাবলীপুরম কিংবা পুদুচেরির কোনও রিসর্টে ওই বিধায়কদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দিনকরণ শিবিরের নেতারা ইঙ্গিত দিয়েছেন।

Advertisement

শশিকলার জেলে যাওয়া, সেই সঙ্গেই তাঁর অনুগত নেতা পলানীস্বামীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে চেন্নাইয়ের বাইরে একটি রিসর্টে বন্দি করে রাখা হয়েছিল এডিএমকে-র বিধায়কদের। অনেক নাটকের পরে মুখ্যমন্ত্রী হন পলানীস্বামী। সেই ঘটনার ছয় মাস কাটতে না কাটতেই আর একটি রিসর্ট ঘিরে ফের শুরু হল তামিলনাড়ুর রাজনীতির নতুন নাটক। তবে ওই ১৯ জন বিধায়ক দল থেকে পদত্যাগ করেননি কিংবা এডিএমকে সরকারের উপর থেকেও আনুষ্ঠানিক ভাবে সমর্থন তোলেননি। তাই অনেকেই মনে করছেন, এঁদের সামনে রেখে এখন নতুন খেলা খেলতে চাইছে শশী-শিবির। তবে দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়নি। শশিকলা জেলে রয়েছেন আর দিনকরণ নির্বাচন কমিশনের মামলার জালে জড়িয়েছেন— ফলে নিজেরাই চাপের মধ্যে থাকায় তাঁদের পক্ষে সরকার উল্টে দেওয়া সম্ভব নয়।

তামিলনাড়ুর ২৩৪ আসনের বিধানসভায় এডিএমকে-র শক্তি ১৩৪। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৮ জনের সমর্থন। কিন্তু পলানীস্বামী শিবির থেকে ১৯ জন কমে যাওয়ায় কার্যত সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছে সরকার। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে বিরোধী দল ডিএমকে-ও। দলের নেতা এম কে স্ট্যালিনের দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় পলানীস্বামীকে ফের আস্থা ভোটে জিতে আসতে বলুন রাজ্যপাল। অনেকেই মনে করছেন, বিদ্রোহী বিধায়করা যে হেতু নিজেদের শক্তিতে সরকার ফেলতে পারবেন না, তাই পলানীস্বামীর বিরুদ্ধে কিছু করতে গেলে ডিএমকে নেতা স্ট্যালিনের হাতেই তামাক খেতে হবে তাঁদের। সে ক্ষেত্রে করুনানিধি-পুত্র কী ভাবে এগোন, এখন সেটাও দেখার।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement