ফি দিতে দেরি, স্কুলে বন্দি ১৯ ছাত্র-ছাত্রী

তাদের বয়স ৫ থেকে ১৪। সংখ্যায় ১৯। এই পড়ুয়াদের ‘অপরাধ’ ছিল, তাদের বাবা-মায়েরা সময়ে স্কুলের ফি দিতে পারেননি। সেই কারণে তাদের স্কুলের একটি ঘরে প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠল হায়দরাবাদের হায়াতনগরের সারিথা বিদ্যা নিকেতন স্কুলের বিরুদ্ধে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

হায়দরাবাদ শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৭ ০৪:৩৮
Share:

তাদের বয়স ৫ থেকে ১৪। সংখ্যায় ১৯। এই পড়ুয়াদের ‘অপরাধ’ ছিল, তাদের বাবা-মায়েরা সময়ে স্কুলের ফি দিতে পারেননি। সেই কারণে তাদের স্কুলের একটি ঘরে প্রায় দু’ঘণ্টা আটকে রাখার অভিযোগ উঠল হায়দরাবাদের হায়াতনগরের সারিথা বিদ্যা নিকেতন স্কুলের বিরুদ্ধে। শনিবার থেকে স্কুলে শুরু হয়েছে ফাইনাল পরীক্ষা। বন্দি ১৯ জন ছাত্রছাত্রীকে সেই পরীক্ষাতেও বসতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

Advertisement

আটক পড়ুয়াদের মধ্যে এক জনের বাবা-মা ঘটনাটি পুলিশ, সংবাদমাধ্যম ও শিশুর অধিকার রক্ষার কর্মীদের জানানোর পরে বিষয়টি সামনে আসে। পুলিশ স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নাবালক বিচার আইনের ধারায় মামলা করেছে। রবিবার হায়াতনগর থানার ইনস্পেক্টর জে নরেন্দ্র গৌড় বলেন, ‘‘শনিবার স্কুলের একটি ঘর থেকে ১৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপের পরে তাদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হয়েছে। এমন আচরণের কারণ জানতে চাওয়া হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানান, ওই পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ফি দিতে দেরি করছিলেন।’’ হতবাক অভিভাবকরা। এক পড়ুয়ার বাবা বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী স্কুলের অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে কথা দিয়েছিলেন এপ্রিলের মধ্যে ফি মেটাবেন। তিনি পড়ুয়াদের পরীক্ষায় বসতে দেওয়ারও অনুরোধ করেন। ফি নিয়ে কিছু বলার থাকলে স্কুল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল বাবা-মায়েদের ডেকে পাঠানো। বাচ্চাদের সঙ্গে এমন ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না।’’

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিশু অধিকার রক্ষা আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরাও। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন