মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সব ট্রাফিক সিগনালে দাঁড়াচ্ছে সর্বানন্দ সোনোয়ালের কনভয়। রাজ্যের দায়িত্ব নেওয়ার পরে প্রথম বার নিজের গ্রামেরা বাড়ি রওনা হওয়ার সময়ও ব্যতিক্রমী সর্বানন্দ। হেলিকপ্টার বা বিমানে নয়, ট্রেনেই গুয়াহাটি থেকে ডিব্রুগড় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। জন্মস্থান চাবুয়া পৌঁছে জানালেন, পরিবর্তন ও ব্যয়-সঙ্কোচের ডাক কেবল মুখের কথা হয়েই থাকবে না। ‘আপনি আচরি ধর্ম’-এর রীতি মেনেই কাজ করবেন তিনি। এ দিকে মুখ্যমন্ত্রী যে রাজধানী এক্সপ্রেসে গত কাল সন্ধ্যায় ডিব্রুগড় রওনা দেন, সেই ট্রেনের তিনটি কামরা লক্ষ্য করে রাতে নগাঁও জেলার চাপরমুখে পাথর ছোঁড়া হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ ডিব্রুগড়ের আবর্ত ভবনে সর্বানন্দ উজানি অসমের আট জন বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রতি জেলা ও বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিশ্রুতিমতো উন্নয়নের কাজ করে দেখানোর উপরে জোর দেন তিনি। নগাঁও থেকে শুরু করে ধেমাজি, শোণিতপুর, তিনসুকিয়া পর্যন্ত ১২টি জেলার জেলাশাসক ও এসপিদের সঙ্গে জেলাশাসকের দফতরে পৃথক একটি বৈঠকও করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব ভি কে পিপারসেনিয়া ও রাজ্য পুলিশের ডিজি মুকেশ সহায়।
জেলাগুলিতে নাগরিকপঞ্জি উন্নীতকরণের কাজ, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবস্থা ও বিদেশি শণাক্তকরণ আদালতগুলির বকেয়া মামলা সম্পর্কে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ। অবৈধ ব্যবসা ও সিন্ডিকেট-রাজ বন্ধ করা এবং ক্রিকেটের প্রসারেও গুরুত্ব দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিদেশি বহিষ্কার ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ সর্বানন্দের সামনে এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
রাজনৈতিক বৈঠক সেরে মতিলাল জালান ভবনে আরএসএসের উত্তর অসম প্রান্ত প্রাদেশিক বৈঠকে অংশ নেন সর্বানন্দ। চেন্নাইয়ে চিকিৎসাধীন অসম সাহিত্য সভার প্রাক্তন সভাপতি রংবং তেরাংয়ের স্বাস্থ্যের খোঁজও নেন তিনি। অন্য দিকে, নিজের গ্রামে পৌঁছনোর পর মুখ্যমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।