Bihar Assembly Election 2025

তুই না মুই! ভোটের টিকিটের জন্য ‘দাম্পত্য লড়াই’ বিহারে, দুই বিদায়ী বিধায়ককে সরিয়ে প্রার্থী স্বামীরা

বিহার বিধানসভা ভোটে টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে স্বামীরা এখনও দুই গোলে এগিয়ে। খাতা খুলতে পারেননি স্ত্রীরা। তবে ‘খেলা’ আরও বাকি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২৬
Share:

(বাঁ দিকে) ‘ছোটে সরকার’ অনন্ত সিংহ। (ডান দিকে) অনন্তের স্ত্রী, মোকামার বিদায়ী বিধায়ক নীলম দেবী। —ফাইল চিত্র।

ভোটে লড়বেন কে? স্বামী না স্ত্রী? বিধানসভা ভোটের আগে বিহারের এমন বহু রাজনীতিক দম্পতির লড়াই তুঙ্গে উঠেছে। কেউ ভরা সভায় বলে দিচ্ছেন, বিধায়ক হিসাবে তাঁর স্ত্রী অযোগ্য। তাঁকে যেন আর সুযোগ না দেন জনগণ। স্ত্রী পত্রপাঠ সেটা মেনেও নিচ্ছেন। কেউ এখনও দলীয় নেতৃত্বকে বুঝিয়ে চলেছেন, কেন স্ত্রীর চেয়ে তিনি বেশি যোগ্য। বিহার বিধানসভা ভোটে টিকিট পাওয়ার লড়াইয়ে স্বামীরা এখনও দুই গোলে এগিয়ে। খাতা খুলতে পারেননি স্ত্রীরা। তবে ‘খেলা’ আরও বাকি।

Advertisement

মোকামার বিদায়ী বিধায়ক নীলম দেবী আরজেডি-র টিকিটে বিধায়ক হয়েছিলেন। পরে যোগ দেন এনডিএ জোটে। বিদায়ী বিধায়ক স্ত্রী এ বার ভোটের লড়াই থেকে দূরে। ওদিকে স্বামী অনন্ত সিংহ এ বার মোকামা থেকেই নীতীশ কুমারের দলের হয়ে লড়ছেন। এলাকায় ‘ছোটে সরকার’ বলে পরিচিত চার বারের বিধায়ক এবং এ বারের জেডেইউ প্রার্থী ২০২০ সালে আরজেডি-র টিকিটে বিধায়ক হন। কিন্তু অস্ত্র মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর বিধায়ক পদ চলে যায়। উপনির্বাচনে আরজেডি প্রার্থী করে নীলমকে। জয়ী হন ‘ছোটে সরকারের’ স্ত্রী।

স্ত্রীর বিধায়ক পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই স্বামী ছাড়া পেয়ে গিয়েছেন জেল থেকে। তিনি আবার বিধায়ক হতে চান। প্রার্থী হয়ে স্ত্রীর বিরুদ্ধেই জোরপ্রচার শুরু করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, মোকামার মানুষ তাঁর স্ত্রীর উপর খেপে আছেন। কারণ, বিধায়ক হিসাবে কোনও দায়িত্বই পালন করেননি নীলম। গত কয়েক বছরে এলাকার লোকজন তাঁকে দেখতেই পাননি। অতএব ‘স্ত্রীর মর্যাদা’ রক্ষা করতে তিনি আবার ভোটের লড়াইয়ে নামছেন। ও দিকে, স্ত্রীকে দেখা যাচ্ছে, স্বামীর সঙ্গে র‌্যালিতে হাঁটছেন!

Advertisement

গৌর বরাম কেন্দ্রেও একই পরিস্থিতি। বিদায়ী বিধায়ক স্বর্ণ সিংহের স্বামী সুজিত সিংহ ওই কেন্দ্র থেকে এ বার ভোটে লড়ছেন। ২০২০ সালের বিকাশশীল ইনসান পার্টির প্রার্থী স্বর্ণ হাজার সাতেক ভোটে জয়ী হন। পরে তিনি যোগ দেন বিজেপিতে। অন্য দিকে, রাজস্ব দফতরের আধিকারিক সুজিত সদ্য চাকরি ছেড়েছেন ভোটে লড়বেন বলে। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরদিনই পেয়েছেন ‘পুরস্কার।’ সুজিত বলছেন, ভোটে তিনি জিতবেনই এবং সেটা স্ত্রীর চেয়ে অনেক বড় ব্যবধানে। স্বামীর প্রত্যয় দেখে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিদায়ী বিধায়ক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement