বিধ্বস্ত ইডিআই ভবন। ছবি: পিটিআই।
শুরু হয়েছিল তিন দিন আগে। আজ শেষ হলো অভিযান। দুই জঙ্গিকে নিকেশ করার পরে সেনা জানাল, ৫৬ ঘণ্টার অভিযানে সমাপ্তি টেনেছে তারা।
কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার পাম্পোরের ‘জম্মু-কাশ্মীর এন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট’ (ইডিআই) গত সোমবার থেকে দখলে রেখেছিল জঙ্গিরা। উদ্দেশ্য ছিল, বিশাল ওই সরকারি ভবনে লুকিয়ে থেকে দফায় দফায় হামলা চালানোর সঙ্গে সঙ্গে বেশি সংখ্যক সেনা-পুলিশকে মারার। কিন্তু জঙ্গিদের সেই ছক বানচাল করে দেয় সেনা। অভিযানের শুরুতেই তারা জানিয়েছিল, পুরো ভবনটি জঙ্গি-দখল থেকে মুক্ত করতে অন্তত তিন থেকে চার দিন সময় লাগতে পারে তাদের। কারণ এ বার আর কোনও ভাবেই কোনও সেনা জওয়ানের প্রাণের বিনিময়ে জঙ্গিদের খতম করতে চায়নি সেনা। তারা বরং ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছিল। অপেক্ষা করছিল জঙ্গিদের গুলি শেষ হওয়ার।
অবন্তিপোরার ভিক্টর ফোর্সের কম্যান্ডিং অফিসার মেজর জেনারেল অশোক নারুলা আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওই ভবনে মোট ৬০টি ঘর রয়েছে। ফলে প্রতিটি ঘর বেছে বেছে দেখতে আমাদের সময় লেগেছে। দু’জন জঙ্গিকে শেষ করার পরেও একটা আশঙ্কা ছিল। ফলে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে আমরা অভিযান শেষের ঘোষণা করতে পারছিলাম না।’’ কাল সন্ধের দিকেই সেনার গুলিতে মৃত্যু হয়েছিল এক জঙ্গির। আজ দুপুরে মারা যায় অপর জনও।
দু’জনের বেশি জঙ্গি থাকার যে খবর শোনা যাচ্ছিল? সেনা অবশ্য সে নিয়ে মুখ খোলেনি। তাদের বক্তব্য, দুই জঙ্গিই তিন দিন ধরে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে সেনা আর পুলিশকে লক্ষ করে। আর তাদের দু’জনকেই মেরে ফেলা হয়েছে। জঙ্গিদের কাছ থেকে বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে আইইডি-ও। জঙ্গিদের পরিচয় নিয়ে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি সেনা। তবে সেনার একাংশের ধারণা, নিহত দুই জঙ্গিই লস্কর-ই-তইবার সদস্য ছিল। ওই দুই জঙ্গিকে কাবু করতে সেনার এলিট বাহিনীর সদস্যদের ডাকা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন নারুলা।
তবে তিন দিন ধরে বাহিনীর মর্টার, গ্রেনেড, রকেট লঞ্চার আর গোলাগুলিতে এখন বিধ্বস্ত গোটা ইডিআই ভবন। জঙ্গি হামলার সাক্ষ্য বহন করে শুধু দাঁড়িয়ে রয়েছে আধপোড়া কংক্রিটের কাঠামোটা।