Updates Of Bangladesh Anarchy After Osman Hadis Death

পুড়েছে বাংলাদেশের ‘চরকি’র অফিস, তছনছ ‘ছায়ানট’! কতটা নিরাপদে ও পার বাংলার বিনোদনদুনিয়া?

খবর, ও পার বাংলার প্রথম সারির ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’র অফিস আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ভাঙচুর চলেছে ‘ছায়ানট’ সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানে। ভীত বিনোদনদুনিয়া।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৫:২৭
Share:

পুড়ছে বাংলাদেশের ‘প্রথম আলো’র অফিস। ফাইল চিত্র।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর পর ফের বাংলাদেশ উত্তাল। আগুনে সাংঘাতিক ক্ষতিগ্রস্ত ও পার বাংলার দুই সংবাদপত্র ‘প্রথম আলো’ ও ‘ডেলি স্টার’-এর দফতর। একই ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের প্রথম সারির ওয়েব প্ল্যাটফর্ম ‘চরকি’র অফিস। ওয়েব প্ল্যাটফর্মের এই অফিসটি ‘প্রথম আলো’র অফিস ভবনের তিনতলায়।

Advertisement

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ফের বিদ্রোহের আগুন জ্বলায় ভীত ও পার বাংলার বিনোদনদুনিয়া। ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলার নীরব দর্শক অনেকেই। কিন্তু তাঁরা মুখ খুলছেন না কেউই। আরও জানা গিয়েছে, ‘প্রথম আলো’র মতো সম্পূর্ণ অগ্নিদগ্ধ না হলেও অনেকাংশেই ক্ষতিগ্রস্ত ‘চরকি’র অফিস। বহুতলের তিনতলায় ওয়েব পোর্টালটির অ্যাকাউন্ট অফিস-সহ একাধিক বিভাগ ছিল। সে সব ক্ষতিগ্রস্ত।

ছায়ানট-এর এখনকার অবস্থা। ছবি: ফেসবুক।

মধ্যরাতে অবাধ ভাঙচুর চলে প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী সন্‌জীদা খাতুনের অতি প্রিয় ‘ছায়ানট’ সাংস্কৃতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাত ১টা নাগাদ ধানমন্ডি এলাকায় এই প্রতিষ্ঠানেও আগুন ধরিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। শুক্রবার সমাজমাধ্যমে সন্‌জীদা খাতুনের নাতনি সায়ন্তনী তিসা ভাগ করে নিয়েছেন ছায়ানট-এর এখনকার অবস্থার কিছু ছবি। ইতস্তত পড়ে রয়েছে ভাঙা হারমোনিয়াম, তবলা, বাঁয়া। পুড়ে ছাই প্রতিষ্ঠানের আরও অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, আসবাব, সংগৃহীত বহুমূল্য সামগ্রী। ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা সন্‌জীদা খাতুন ও লালন ফকিরের ছবি।

Advertisement

খবর, রাত ৩টে নাগাদ ‘ছায়ানট’-এর তরফে সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করা হয়, সংগঠনের কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে। ওই ভবনে যে সমস্ত সঙ্গীতচর্চার ক্লাস নেওয়া হত, আপাতত তা বন্ধ থাকবে।

কয়েক মাস আগের কথা। ও পার বাংলায় বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করছিলেন এক জনপ্রিয় কাহিনিকার-চিত্রনাট্যকার-পরিচালক। আচমকাই তিনি নিজের দেশ ভারতে। কেন চলে এলেন? সে সময়ে কিছুই বলেননি তিনি। শোনা যাচ্ছে, পরিস্থিতি যে কোনও সময় বদলে যেতে পারে, আগাম অনুমান করতে পেরেছিলেন তিনি। তাই আগেভাগে চলে আসেন নিজের দেশে। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের ভারতীয় ছাত্র এবং বিভিন্ন মাধ্যমে কর্মরতদের নিরাপত্তা কড়া করছে সে দেশ।

বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাস থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারত থেকে আগত প্রত্যেক ব্যক্তি যেন খুব প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বের হন। নিজের এলাকাতেই যেন গতিবিধি সীমাবদ্ধ থাকে তাঁদের। কোনওরকম বিপদের আঁচ পেলেই যেন যোগাযোগ করেন ভারতীয় হাইকমিশনার এবং যুগ্ম হাইকমিশনারের সঙ্গে। তাঁরা ভারতীয় অভিবাসীদের পাশে রয়েছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement