National News

ফেসবুকে লাইভ হয়েই পুলিশের জালে ২১ বছরের সুন্দরী!

বেশ ছিলেন। কিন্তু, ‘বিপত্তি’ বাধল ফেসবুকে লাইভ করে! লোক ঠকিয়ে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে ২১ বছরের এক তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই শিখা তিওয়ারি নামে ওই তরুণীকে চোখে চোখে রাখছিলেন রাজস্থানের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-এর আধিকারিকেরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৭ ১৩:৩৭
Share:

‘ডিজে আদা’ নাম ভাঁড়িয়েই মুম্বইয়ে কাজ করতেন শিখা তিওয়ারি। ছবি: সংগৃহীত।

বেশ ছিলেন। কিন্তু, ‘বিপত্তি’ বাধল ফেসবুকে লাইভ করে! লোক ঠকিয়ে ব্ল্যাকমেল করার অভিযোগে ২১ বছরের এক তরুণীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

Advertisement

গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই শিখা তিওয়ারি নামে ওই তরুণীকে চোখে চোখে রাখছিলেন রাজস্থানের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি)-এর আধিকারিকেরা। তাঁর বয়স মাত্র ২১। পেশায় ডিস্ক জকি (ডিজে)। তবে সেটাই শিখার আসল পরিচয় নয়। বরং পুলিশের দাবি, শিখা আসলে একটি মধুচক্রের সদস্য। বিত্তশালীদের ফাঁসিয়ে ব্ল্যাকমেল করাই তাঁর আসল ‘পেশা’। গত বছরে জয়পুরের এক চিকিৎসককে ঠকিয়ে তাঁর কাছ থেকে দেড় কোটি টাকা নিয়ে চম্পট দেন তিনি। টাকা নিয়ে মুম্বইয়ে এসে ওঠেন তিনি। সেখানেই ডিজে হিসাবে কাজ শুরু করেন। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর লাইভ অনুষ্ঠানের সূত্র ধরেই পুলিশের জালে ধরা পড়লেন শিখা।

রাজস্থানের এসওজি-র এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত বছরে একটি মধুচক্রের হদিশ পান তাঁরা। তাতেই উঠে আসে শিখার নাম। মূলত চিকিৎসক বা রিয়েল এস্টেট এজেন্টরাই ছিলেন তাঁর শিকার। ডিসেম্বর থেকেই শিখাকে ধরতে তক্কে তক্কে ছিলেন তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন

স্বামীকে মারছে প্রেমিক, ‘লাইভ’ শুনল স্ত্রী

পুলিশ জানিয়েছে, হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করতে চেয়ে গত বছর সুনিত সোনি নামে জয়পুরের এক চিকিৎকের সঙ্গে দেখা করেন শিখা। সেখান থেকেই সুনিতের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন তিনি। দু’জনে একসঙ্গে পুষ্করেও বেড়াতে যান। পুষ্করেই সুনিতকে হুমকি দিয়ে টাকার দাবি করতে থাকেন তিনি। মিথ্যা ধর্ষণের মামলায় সুনিতকে ফাঁসিয়ে দেবেন এই হুমকি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ২ কোটি টাকা দাবি করেন তিনি। টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁর বিরুদ্ধে গত ২৪ ডিসেম্বর পুলিশে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন শিখা।

সেই মামলায় ৭৮ দিন জেলেও কাটাতে হয় সুনিতকে। তবে শেষমেশ ছাড়া পেলেও শিখার হাত থেকে মুক্তি পেতে টাকা দেওয়াই স্থির করেন সুনিত। প্রথম দফায় এক কোটি এবং পরে শিখা ৫০ লক্ষ টাকাও দেন তিনি। সেই টাকা নিয়েই মুম্বইয়ে পালিয়ে যান শিখা। সেখানেই একটি হোটেল ‘ডিজে আদা’ নাম ভাঁড়িয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। কিন্তু সব ভেস্তে গেল ফেসবুকে লাইভ অনুষ্ঠান করে। অনুষ্ঠানের সম্প্রচারে শিখাকে দেখেই এসওজি-র আধিকারিকেরা মুম্বই পৌঁছে যান। অবশেষে পাঁচ মাস পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের দাবি, শিখার মতোই মিথ্যা ধর্ষণের মামলা সাজিয়ে বহু লোককে ব্ল্যাকমেল করতেন ওই মধুচক্রের সদস্যরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন