মত্ত ‘গজ’-এ তামিলনাড়ু তছনছ, মৃতের সংখ্যা ২৩

পাঁচ দিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে পু়ঞ্জীভূত হচ্ছিল ঘূর্ণিঝড়টি, শ্রীলঙ্কা যার নামকরণ করেছে ‘গজ’। সমুদ্রের জলীয় বাষ্প শুষে সেটি যেমন আয়তনে বাড়ছিল, গতি ছিল তুলনায় শ্লথ।

Advertisement

চেন্নাই

শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০১৮ ০১:৪৯
Share:

ছবি: পিটিআই।

শুক্রবার কাকভোরে তামিলনাড়ুর উপকূলে আছড়ে পড়ল সামুদ্রিক ঝড় ‘গজ’। ১২০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টি। তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। দিনের আলো ফোটার আগেই সাতটি জেলার উপকূল অঞ্চলে বিদ্যুৎ সংযোগ চলে যায়। ভেঙে পড়ে বেশ কিছু টেলিকমিউনিকেশন টাওয়ার, মাটির বাড়ি, বড় গাছ। সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি ভাবে মৃতের সংখ্যা ১১ জানানো হলেও বেসরকারি ভাবে অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে।

Advertisement

পাঁচ দিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে পু়ঞ্জীভূত হচ্ছিল ঘূর্ণিঝড়টি, শ্রীলঙ্কা যার নামকরণ করেছে ‘গজ’। সমুদ্রের জলীয় বাষ্প শুষে সেটি যেমন আয়তনে বাড়ছিল, গতি ছিল তুলনায় শ্লথ। বৃহস্পতিবার ‘সাইক্লোন’ থেকে ‘সিভিয়ার সাইক্লোন’-এ পরিণত হয় ‘গজ’। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির প্রশাসন সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে উপকূলবর্তী জেলে বস্তি থেকে প্রায় ৮৩ হাজার মানুষকে উঁচু জায়গায় সাইক্লোন-শিবিরগুলিতে সরিয়ে নেয়। কুড্ডালোর, নাগাপট্টিনম, পুডুকোট্টাই, তাঞ্জাভুর, রামনাথপুরম ও তিরুভারুর জেলায় ৪৭৭টি সাইক্লোন-শিবির এ জন্য তৈরি রাখা হয়েছিল। এই ছয় জেলা ও পুদুচেরিতে এ দিন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছিল। সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল।

দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এ দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় নাগাপট্টিনম উপকূলে আছড়ে পড়ে ‘গজ’। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া ও প্রচণ্ড বর্ষণ। ফলে বিস্তীর্ণ এলাকায় বিদ্যুৎ ও টেলি যোগাযোগ বিপর্যস্ত। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ত্রাণের কাজ শুরু করেছেন রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা। বেসরকারি ভাবে অন্তত ২৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানা গেলেও মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুপুর পর্যন্ত ১১ জনের মৃত্যুর খবর নথিভুক্ত হয়েছে। মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেন তিনি। গুরুতর আহতদের এক লক্ষ ও সামান্য আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন