প্রয়োজনীয় চিকিৎসা হাতের বাইরে, তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে পরোক্ষ নিষ্কৃতি-মৃত্যুর অনুমতি চাইলেন ছত্তীসগড়ের বাসিন্দা, বছর ছাব্বিশের সুনীতা মাহান্ত। জন্মের থেকেই সে সেরিব্রেল পলসিতে আক্রান্ত। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছিলেন মোটামুটি স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে নিয়মিত ফিজিওথেরাপিই সুনীতার একমাত্র ভরসা। সেই মতো চলছিল তাঁর চিকিৎসা।
প্রথমদিকে চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে তাঁর অবস্থার বেশ উন্নতি হচ্ছিল। ধীরে ধীরে। তবে যশপুর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সুনীতার দাবি, হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেওয়া হয় না। এই নিয়ে জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করেন তিনি। যার জেরে সেখানকার ডাক্তার ও মেডিক্যাল অফিসারের রোষের মুখে পড়েন ওই তরুণী। হাসপাতাল থেকে তাঁকে সটান রেফার করে দেওয়া হয় ৪২ কিলোমিটার দূরের অন্য এক জেলা হাসপাতালে।
মেয়ে কোনওদিন পুরোপুরি সুস্থ হবে না জেনেও, নিজের সব সঞ্চয় নিঃশেষ করে চিকিৎসার চালিয়ে গিয়েছেন সুনীতার বাবা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পিয়োন। এই যুদ্ধে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রামন সিংহ নামে এক সিনিয়র চিকিৎসক। তিনি সুনীতার চিকিৎসার জন্য এক লক্ষের উপর টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। তবে সে টাকাও শেষ। এখন কার্যত সহায়-সম্বলহীন অবস্থা সুনীতার বাবার।
আরও পড়ুন: ‘বাবাসাহেব আমার মতোই পিছিয়ে পড়াদের প্রেরণা’
কাছের হাসপাতাল তাঁর চিকিৎসা করবে না। অন্য কোথাও গিয়ে চিকিৎসা করানোর মতো আর্থিক পরিস্থিতি আর নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিতে এই অসহায় অবস্থার কথা জানিয়ে পরোক্ষ নিষ্কৃতি-মৃত্যুর অনুমতি চেয়েছেন সুনীতা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ, হয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন, নয় তো আমাকে পরোক্ষ নিষ্কৃতি-মৃত্যুর অনুমতি দিন।