জেএনইউয়ে মাঝরাতে বিজেপির তিন মুখ্যমন্ত্রী

জেএনইউয়ে কাল সেই সুরেই সর্বানন্দ বলেন, ‘‘নাগরিক পঞ্জির উদ্দেশ্যই হল বিদেশিদের চিহ্নিত করে তাঁদের ফেরত পাঠানো।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০৫:১৫
Share:

ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রায় মধ্যরাতে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ)-এ পৌঁছে গেলেন বিজেপির তিন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে গিয়ে ছড়ালেন মেরুকরণের হাওয়া। কিন্তু ছাত্রদের বিরোধে জলদি পাট চুকিয়ে ফিরে যেতে হল তাঁদের।

Advertisement

অসমের সর্বানন্দ সোনোয়াল, অরুণাচলের পেমা খান্ডু ও মণিপুরের বীরেন সিংহ— উত্তর-পূর্বের তিন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীকে জেএনইউয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবিভিপি। উত্তর-পূর্বেরই পড়ুয়াদের বিরোধের মুখে পড়েন তাঁরা। বাম ও কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন অবশ্য গোড়া থেকেই এবিভিপি-র এই উদ্যোগের বিরোধিতা করছিল।

গত কাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক গড়ায় রাত পর্যন্ত। ফলে জেএনইউয়ে পৌছতে প্রায় মধ্যরাত হয়ে যায় তিন মুখ্যমন্ত্রীর। সেখানে মেরুকরণের রাজনীতির কথা শুরু করেন তাঁরা। কিছু আগেই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে লোকসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। উন্নয়নের পাশাপাশি গোটা দেশে মেরুকরণের হাওয়া তুলতে অসমের নাগরিক পঞ্জি নিয়ে প্রচারের নির্দেশ পেয়েছেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের ফাঁকে ছত্তীসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ বিজেপির পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করেছেন, কোনও অনুপ্রবেশকারীকে বরদাস্ত করা হবে না। তবে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের আওতায় পালিয়ে আসা হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়া হবে।

Advertisement

জেএনইউয়ে কাল সেই সুরেই সর্বানন্দ বলেন, ‘‘নাগরিক পঞ্জির উদ্দেশ্যই হল বিদেশিদের চিহ্নিত করে তাঁদের ফেরত পাঠানো।’’ এতে উত্তর-পূর্বের পড়ুয়াদের বিরোধের মুখে পড়তে হয়। মেরুকরণের রাজনীতির থেকেও উত্তর-পূর্বের উন্নয়ন, শিক্ষা, অসমের বন্যাত্রাণ ইত্যাদি নিয়ে শুনতে বেশি আগ্রহী ছিলেন তাঁরা। কোনও রকমে তাঁদের প্রশ্নের জবাব দিয়ে দ্রুত অনুষ্ঠান শেষ করতে হয় মুখ্যমন্ত্রীদের। এবিভিপি অবশ্য ছাত্রদের বিরোধের কথা অস্বীকার করেছে। যদিও বিরোধের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement