খুঁজে পাওয়া পুরনো মুদ্রা নিয়েই চর্চা অসমে। প্রতীকি ছবি। ছবি: শাটারস্টক
অসমের চরাইদেব জেলা। স্থানীয় লোকজনেরা মিলে একটি পুকুর খুঁড়ে চলেছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু খুঁড়তে খুঁড়তে জলের বদলে যে ধন-রত্ন উঠে আসবে, তাও অসম্ভব ঐতিহাসিক গুরুত্ব সম্পন্ন, তা কেই বা ভেবেছিল। প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো বেশ কিছু মুদ্রা পাওয়া গেল পুকুর খোঁড়ার সময়। এই মুদ্রা গুলি তিন শতাধিক বছরেরও পুরনো অহম রাজবংশের সময়কার বলে জানা গিয়েছে।
চরাইদেব পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ১০০ দিনের কাজের অধীনে নাহারপুখুরি পঞ্চায়েত এলাকার কিছু গ্রামবাসী একটি পুকুর খোঁড়ার কাজ করছিলেন। সেই সময়েই তাঁরা ওই মুদ্রা গুলি খুঁজে পান। যদিও খুঁজে পাওয়ার পরেই সেগুলি কুড়িয়ে নিতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। শেষমশ মাত্র ১৬টি মুদ্রা উদ্ধার করতে পেরেছে জেলা প্রশাসন। খুঁজে পাওয়ার পরেই মুদ্রাগুলিকে পুরাতত্ত্ব বিভাগের কাছে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।
পরীক্ষার পর পুরাতত্ত্ব দফতর থেকে জানানো হয় যে শুধু অহম রাজবংশেরই নয়, মুঘল রাজত্বেরও বেশ কিছু মুদ্রা আছে সেখানে। শুধু মাত্র গোল নয়, আট কোণা বিশিষ্ট মুদ্রাও উদ্ধার হয়েছে ওই স্থান থেকে।
আরও পড়ুন: আর শুধু গল্পেই নয়, সত্যি হতে চলেছে ‘মালগুড়ি’ রেলওয়ে স্টেশন
১২২৮ থেকে ১৮২৬, প্রায় ৬০০ বছর অহম রাজাদের শাসনকাল জারি ছিল। বাংলার সুলতানি ও দিল্লির মুঘল রাজত্বের আক্রমণ সামলে টিকে গেলেও, পরবর্তী কালে বর্মি সেনা ও ব্রিটিশদের হাত থেকে আর নিজেদের সাম্রাজ্য রক্ষা করতে পারেননি তাঁরা। পঞ্চদশ শতকে প্রথম মুদ্রা চালু করেন তাঁরা। সেই মুদ্রাগুলি গোলাকার ছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে মুদ্রা গুলির আকার আট কোণা বিশিষ্ট হয়ে যায়। মনে করা হয় যে কামরূপের যোগিনী তন্ত্রের আটটি মত অনুসারে মুদ্রা গুলিকে আট কোণা বিশিষ্ট করা হয়।
আরও পড়ুন: সুস্থ ভাবে ফেরার পরে উৎসবের মেজাজ অভিনন্দনের স্কুলে, উঠে এল কমান্ডারের ছেলেবেলার স্মৃতিও