কাছাড়ে আজ ৪ পঞ্চায়েতে ভোট

কাছাড় জেলায় আগামী কাল চারটি পঞ্চায়েত সভাপতি পদে উপনির্বাচন হবে। রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর জেলায় এই প্রথম কোনও ভোটগ্রহণ। তাই শাসক বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেস একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৬ ০৪:০৩
Share:

কাছাড় জেলায় আগামী কাল চারটি পঞ্চায়েত সভাপতি পদে উপনির্বাচন হবে। রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর জেলায় এই প্রথম কোনও ভোটগ্রহণ। তাই শাসক বিজেপি এবং বিরোধী কংগ্রেস একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে।

Advertisement

জেলার উন্নয়ন কমিশনার মধুমিতা চৌধুরী জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ হবে ভাগাডহর বড়জুরাই পঞ্চায়েত, পানিভরা পঞ্চায়েত, বিন্নাকান্দি পঞ্চায়েত এবং কচুদরম পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচনের জন্য। তার মধ্যে পানিভরা ছাড়া তিনটিই মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। ভোটকর্মীরা আজই নির্দিষ্ট ভোটকেন্দ্রগুলিতে রওনা হয়েছেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে নিরাপত্তাকর্মীরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। কিন্তু একে মর্যাদার লড়াইয়ে নিয়ে গিয়েছে বিজেপি-কংগ্রেস। এক দিকে কেন্দ্র-রাজ্যে বিজেপির সরকার। অন্য দিকে পঞ্চায়েত স্তরে কংগ্রেসেরই দাপট ছিল এত দিন। তাই দুই দলের কাছেই চারটি আসনের উপনির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ।

শাসক দল পূর্তমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দিলীপকুমার পালের মতো নেতাদের প্রচারে নামায়। ছিলেন বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর-সহ জেলা নেতৃত্বও। পাল্টা হিসেবে সাংসদ সুস্মিতা দেব, বিধায়ক রাজদীপ গোয়ালা, জেলা কংগ্রেস সভাপতি কর্ণেন্দু ভট্টাচার্য, প্রাক্তন মন্ত্রী অজিত সিংহ ও গিরীন্দ্র মল্লিক, প্রাক্তন বিধায়ক এনামুল হক কংগ্রেস প্রার্থীদের জেতাতে দফায় দফায় সভা করেন। বিজেপির জেলা সভাপতি কৌশিক রাই আশাবাদী— চার আসনের মধ্যে তিনটি নিশ্চিত ভাবে তাঁদের ঝুলিতে আসবে। শেষ পর্যন্ত চারটিও এসে যেতে পারে। যেমন বিধানসভা নির্বাচনে কেউ ভাবতেই পারেননি, সাতটিতে ছ’টিই জিতবেন গেরুয়া প্রার্থীরা। তাঁর দাবি— ব্রডগেজ, নাগরিকত্ব-সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিজেপি তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। ভোটের বাক্সে ওই সব এলাকার মানুষ তাই তাঁদের প্রতিই আস্থা প্রকাশ করবেন।

Advertisement

জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক পার্থরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘কংগ্রেস ৪ আসনেই বিপুল ভোটে জিতবে। খাদ্য সুরক্ষার চাল নিয়ে অভিযোগ, এলপিজি-কেরোসিন-ওষুধের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির পর মানুষের আর বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনের প্রশ্ন ওঠে না।’’

এ দিকে, চারটি পঞ্চায়েত সভাপতি পদে উপনির্বাচনের জন্য কাল ভোটগ্রহণ করা হলেও দক্ষিণ বড়খলা জেলা পরিষদ সদস্যের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য পড়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই এলাকার মানুষ। গত বছরের ১ অগস্ট সেই আসনের নির্বাচিত সদস্য নুরুন নেহার বেগম প্রয়াত হন। এক বছরেও উপনির্বাচন না হওয়ায় উন্নয়নমূলক কাজকর্ম থেকে তারা পিছিয়ে পড়ছেন বলে অভিযোগ করেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন