মেজর এস ধাইয়া
আবারও রক্তাক্ত ভূস্বর্গ। একই দিনে জোড়া সংঘর্ষে নিহত সেনার এক মেজর-সহ ৪ জওয়ান এবং ৪ লস্কর জঙ্গি। সেনা-পুলিশ মিলিয়ে আহত অন্তত ১২।
আজ প্রথম সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলার হাজিন এলাকার প্যারি মহল্লা গ্রামে। গোপন সূত্রে এলাকায় জঙ্গি উপস্থিতির খবর পেয়ে দিনের শুরুতেই অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। আর তখনই গোপন আস্তানা থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। প্রাণ যায় তিন সেনা-জওয়ানের। গুরুতর আহত অবস্থায় বাহিনীর এক মেজর, সিআরপিএফের এক কম্যান্ডান্ট ও ৬ পুলিশ কর্মীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বান্দিপোরার সংঘর্ষে প্রাণ গিয়েছে এক লস্কর জঙ্গিরও। স্থানীয়দের দাবি, গুলির পাশাপাশি ব্যাপক পাথরও ছোড়ে জঙ্গিরা। যার জেরে ঘায়েল হয়েছেন অন্তত ১২ জন গ্রামবাসী।
আর তার রেশ কাটতে না কাটতেই জঙ্গি-সেনার দ্বিতীয় সংঘর্ষের খবর আসে উত্তর কাশ্মীরেরই কুপওয়ারা জেলার হান্দোয়ারা এলাকা থেকে। জঙ্গি ঘাঁটির খোঁজে এখানেও যৌথ অভিযানে নেমেছিল সেনা ও পুলিশ। বান্দিপোরার মতো এখানেও প্রথমে হামলা চালায় জঙ্গিরা। তবে বাহিনীর তৎপর জবাবে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় ৩ লস্কর জঙ্গি। আহত হন মেজর এস ধাইয়া। পরে হাসপাতালে মারা যান তিনি।
তবে আজ দুপুরে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পুলওয়ামা থেকে লস্করের এক মাথা যে ভাবে পালিয়েছে তাতে চিন্তা বেড়েছে প্রশাসনের। আবু দুজানা নামে দক্ষিণ কাশ্মীরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই জঙ্গিনেতার গাড়ি এবং মোবাইল ফোন হাতে এসেছে পুলিশের। আপাতত তার খোঁজ চলছে সেই সূত্রেই।
এর মধ্যে সাম্বার কাছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর সুড়ঙ্গ খুঁজে পেয়েছে বিএসএফ। সোমবার ২০ মিটার লম্বা ও আড়াই মিটার চওড়া সুড়ঙ্গটির খোঁজ মেলে। বিএসএফ সূত্রের দাবি, ওই সুড়ঙ্গপথেই ভারতে জঙ্গি ঢোকানোর পরিকল্পনা ছিল পাকিস্তানের। সুড়ঙ্গের অন্য প্রান্তটি সীমান্ত বরাবর পাকিস্তানেই গিয়েছে বলে জানায় তারা। এ বিষয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।