Charred to Death

ঘুমের মধ্যে ঝলসে মৃত্যু তিন শিশু-সহ একই পরিবারের পাঁচ জনের! দুর্ঘটনা না পরিকল্পিত খুন?

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দম্পতির নাম সতীশ কুমার এবং কাজল। শনিবার রাতে খাওয়ার পর তিন সন্তানকে নিয়ে ঘুমোতে যান সতীশ এবং কাজল। সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, সেই সময় ঘরে আগুন লেগে যায়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কানপুর শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৩ ১০:০৩
Share:

ঘরের ভিতর থেকে পাঁচ জনের ঝলসানো দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে আগুনে ঝলসে মৃত্যু হল তিন সন্তান-সহ এক দম্পতির। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাতে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দম্পতির নাম সতীশ কুমার এবং কাজল। শনিবার রাতে খাওয়ার পর তিন সন্তানকে নিয়ে ঘুমোতে যান সতীশ এবং কাজল। সবাই যখন গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন, সেই সময় ঘরে আগুন লেগে যায়। সতীশের ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেছিলেন তাঁর মা। পরিবারের অন্য সদস্যদের ডাকাডাকি করে তোলেন তিনি। কিন্তু তত ক্ষণে ঘরের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। খড়ের ছাউনি দেওয়া ঘর হওয়ায় সেই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।

আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পারেননি। ঘরের মধ্যেই ঝলসে মৃত্যু হয় সতীশ, কাজল এবং তাঁদের তিন সন্তানের। উদয়পাল নামে এক গ্রামবাসীর দাবি, ঘরের ছাউনির সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা বাল্‌বে শর্ট সার্কিট হয়েছিল। তা থেকেই আগুন ধরে গিয়েছিল সতীশের ঘরে।

Advertisement

শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে দমকল এবং পুলিশ। কিন্তু এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে কানপুর দেহাতের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন। সতীশদের মৃত্যু বেশ কয়েকটি প্রশ্নও তুলে দিয়েছে। ঘরে আগুন লাগল অথচ সতীশ বা কাজল কেউ টের পেলেন না কেন? যদি টের পেয়েও থাকেন, তা হলে সাহায্যের জন্য চিৎকার করেননি কেন। ফরেন্সিক দল সতীশের ঘর পরীক্ষা করে দেখছে। ডগ স্কোয়াডকেও তদন্তের কাজে লাগানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় সতীশের মা-ও আহত হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন