Goa Nightclub Fire

গোয়া অগ্নিকাণ্ড: নৈশক্লাবের অন্যতম মালিক অজয়কে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ আদালতের, ধৃত দিল্লি থেকে

প্রসঙ্গত, গত শনিবার মাঝরাতে উত্তর গোয়ার আরপোরার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ক্লাবের মালিক লুথরা ভাইয়েরা। এ ছাড়াও আরও দু’জন ক্লাবের অংশীদার হিসাবে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন অজয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৭:০৫
Share:

(বাঁ দিকে) গোয়ার নৈশক্লাবের অন্যতম মালিক অজয় গুপ্ত। তাঁকে গ্রেফতার করে দিল্লি থেকে গোয়া নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: পিটিআই।

গোয়ার নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরাকে (লুথরা ভাই) যখন তাইল্যান্ড থেকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে, সেই সময়ে ওই নৈশক্লাবের আরও এক মালিক অজয় গুপ্তকে দিল্লি থেকে ট্রানজ়িট রিমান্ডে গোয়ায় নিয়ে এল পুলিশ। বুধবার রাতেই তাঁকে দিল্লি থেকে গোয়ায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার অজয়কে গোয়ার এক আদালতে পেশ করা হলে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তাঁকে আপাতত আঞ্জুনা থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত শনিবার মাঝরাতে উত্তর গোয়ার আরপোরার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। সেই ক্লাবের মালিক লুথরা ভাইয়েরা। এ ছাড়াও আরও দু’জন ক্লাবের অংশীদার হিসাবে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন অজয়। অন্য জনের নাম সুরেন্দ্র খোসলা। অজয়কে দু’দিন আগেই দিল্লি থেকে গ্রেফতার করে গোয়া পুলিশ। তদন্তকারী এক সূত্রের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের পরই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যান অজয়। গ্রেফতারি এড়াতে মেরুদণ্ডে চোটের ভান করে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে গোয়া পুলিশে একটি দল লাজপতনগর থেকে অজয়কে গ্রেফতার করে। ধরা পড়ার পর অজয় দাবি করেন, এই ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ নেই। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বিশেষ কিছু জানতেনও না। তিনি ক্লাবের এক জন অংশীদার মাত্র। তবে অজয়ের হদিস পেলেও ক্লাবের চতুর্থ মালিক সুরেন্দ্রের এখনও কোনও হদিস পায়নি পুলিশ। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের দিন দিল্লিতেই ছিলেন ক্লাবের প্রধান দুই মালিক সৌরভ এবং গৌরব লুথরা। রবিবার ভোর ৫টায় ইন্ডিগোর বিমান ধরে তাইল্যান্ডের ফুকেতে পালিয়ে যান। তাঁদের বিরুদ্ধে গোয়া পুলিশ লুকআউট সার্কুলার জারি করে। যখন জানতে পারা যায়, লুথরা ভাইয়েরা ফুকেতে রয়েছেন, তখন গোয়া পুলিশ সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়। সিবিআই তখন ইন্টারপোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ইন্টারপোলের কাছে অনুরোধ করা হয় লুথরা ভাইদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করতে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্লু কর্নার নোটিস জারি করে ইন্টারপোল। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পাঁচ দিন পর ফুকেত থেকে বৃহস্পতিবার লুথরা ভাইদের আটক করে সে দেশের পুলিশ। গোয়া পুলিশের একটি দল ইতিমধ্যেই তাইল্যান্ডে পৌঁছে গিয়েছে। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

প্রসঙ্গত, পলাতক লুথরা ভাইদের পাসপোর্ট বাতিল করতে চেয়ে বুধবার কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়েছিল গোয়া সরকার। এ বিষয়ে কূটনৈতিক হস্তক্ষেপ চেয়ে বিদেশ মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মতো বুধবার রাতেই সৌরভ ও গৌরবের পাসপোর্ট সাসপেন্ড বা সাময়িক ভাবে অবৈধ করে দেওয়া হয়। ফলে তাইল্যান্ড ছেড়ে অন্যত্র পালানোর কোনও উপায় ছিল না লুথরা ভাইদের।

গত শনিবার নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। তাঁদের মধ্যে ২০ জন ক্লাবের কর্মী এবং পাঁচ জন পর্যটক। এই ঘটনায় ক্লাবের পাঁচ ম্যানেজার এবং কয়েক জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement