পরোক্ষ ধূমপানে কণ্ঠ খুইয়ে প্রতিবাদ 

ফেসবুকে নিজের কাহিনি জানিয়ে ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছেন নলিনীদেবী। জানিয়েছেন, নিয়মিত ধূমপান করতেন স্বামী।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেঙ্গালুরু শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

জীবনে একটিও সিগারেট খাননি তিনি। তবু চিকিৎসকেরা যখন জানালেন, তাঁর গলায় ক্যানসার হয়েছে, ভেঙে পড়েছিলেন নলিনীদেবী। বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা ৭০ বছরের নলিনী সত্যনারায়ণ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার। ২০১০ সালে অস্ত্রোপচার করে বাদ গিয়েছে কণ্ঠনালি আর থাইরয়েড গ্ল্যান্ড। এখন গলায় ফুটো করে নল লাগিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তাই দিয়েই চলছে শ্বাস-প্রশ্বাস, হিসহিসিয়ে কথা বলা, আর খাওয়া-দাওয়া।

Advertisement

ফেসবুকে নিজের কাহিনি জানিয়ে ধূমপানের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচার শুরু করেছেন নলিনীদেবী। জানিয়েছেন, নিয়মিত ধূমপান করতেন স্বামী। ১৯৭১ সালে বিয়ে। বহু বার স্বামীকে অনুরোধ করেও নেশা ছাড়াতে পারেননি। এক ছাদের তলায় থাকতে থাকতে কখন যে তিনিও ওই মারণ নেশার শিকার হয়েছেন, বোঝেননি বৃদ্ধা। ২০০৫ সালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়। চার বছর পর থেকেই একটু একটু করে ধরা পড়ে ক্যানসারের উপসর্গ। প্রথম প্রথম শ্বাসকষ্ট। ক্ষীণ হয়ে আসছিল গলার শব্দ। এক সময় কষ্ট এত বাড়ল যে চিকিৎসকেরা জানালেন তা ক্যানসারই।

ছেলেমেয়ে, আত্মীয়দের উৎসাহে নলিনীদেবী আজ সেই ধাক্কাটা অনেকটাই সামলে উঠেছেন। দীর্ঘ অভ্যাসে আয়ত্ত করেছেন কথা বলার নতুন কৌশল। গলার ওই ফুটোয় বাঁশি রেখে বাজিয়েও দেখিয়েছেন তিনি। জীবনকে নতুন করে দেখার এই সুযোগ পেয়ে আজ লড়াই শুধু ধূমপানের বিরুদ্ধে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন