প্রতীকী ছবি।
আর্থিক মন্দা অথবা সংস্থার আইনি বিবাদের কারণে সমুদ্রে ভেসে আছে জাহাজ। আর সেই জাহাজে কার্যত বন্দি হয়ে রয়েছেন ভারত থেকে যাওয়া কর্মী-নাবিকেরা। অর্থ, খাদ্য, ওষুধের রেস্ত সবই শেষ। সম্প্রতি দুবাই উপকূলবর্তী আরব সাগরে এমন একাধিক ঘটনায় বিপন্ন ভারতীয় কর্মীদের অভিযোগ, সাহায্য চেয়েও সুরাহা পাওয়া যাচ্ছে না দুবাইয়ে নিযুক্ত ভারতীয় কনসাল জেনারেলের অফিস থেকে।
এই মুহূর্তে আরব সাগরে ভেসে রয়েছেন ৩১ জন ভারতীয়। পর্যাপ্ত খাবার নেই, ঠিকঠাক বেতনও মিলছে না। সরবরাহ করা হচ্ছে না প্রয়োজনীয় জ্বালানিটুকুও। যোগাযোগ করা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে। এক-আধ বার খাবারের সরবরাহ ছাড়া অন্য কোনও সাহায্য বা ফিরিয়ে আনার কোনও সুব্যবস্থা হয়নি। ঠিক এক মাস আগেই তিন জন ভারতীয় নাবিক (জুবের খান, হরেন্দ্র এবং মহম্মদ শাকিল) অ্যালকো শিপিং সার্ভিস-এর কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তিন বছর জাহাজে ভেসে ছিলেন। অবশেষে তাঁরা গত মাসে মুক্তি পেয়েছেন মূলত এক স্থানীয় ভারতীয় সমাজসেবীর সাহায্যে।
অভিযোগ, বেসরকারি সংস্থার চাকরি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বনিবনা না হওয়াতেই সমস্যা— বিষয়টি শুধু তেমন নয়। সেটি দেখার কাজও নয় বিদেশ মন্ত্রকের। আসল বিষয়টি হল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে জল থেকে স্থলে (দুবাইয়ে) ফিরতে না পারা, রসদের অভাবে পরিস্থিতি বিপজ্জনক জায়গায় চলে যাওয়া সত্ত্বেও সাহায্য মেলে না। বিদেশে কোনও অবস্থায় কেউ বিপদে পড়লে তাদের সাহায্য করা দূতাবাস বা কনসাল জেনারেলের অফিসের দায়িত্ব। সুষমা স্বরাজ বিদেশমন্ত্রী হওয়ার পর দিল্লিতে বসেই বিশ্বের নানা প্রান্তে বিপাকে পড়া ভারতীয়দের এ রকম বহু সাহায্য করেছেন। কিন্তু দুবাই উপকূলবর্তী এলাকায় এই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটা সত্ত্বেও সাহায্য মিলছে না বলেই অভিযোগ।