টোল প্লাজায় দিয়েছিলেন ২৩০ টাকা। কিন্তু মোবাইলে মেসেজ এল ডেবিট কার্ড থেকে খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এর পরের এক মিনিটে পর পর আরও ছয়টি মেসেজ। ওই মেসেজগুলি থেকে পুণের দর্শন পাতিল জানতে পারেন, মোট ৮৭ হাজার টাকা বেমালুম লোপাট হয়ে গিয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে।
ঘটনাটি ৯ সেপ্টেম্বরের। ওই দিন মুম্বই থেকে পুণেতে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন বছর ছত্রিশের সেলস্ ম্যানেজার দর্শন। মুম্বই-পুণে এক্সপ্রেসওয়ের উপরে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা নাগাদ খালাপুর টোল প্লাজায় ২৩০ টাকা টোল ট্যাক্স দেন তিনি। প্লাজা থেকে রসিদও দেওয়া হয় দর্শনকে। কিন্তু মিনিটখানেকের মধ্যেই ঘটে যায় অঘটন।
রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স খতিয়ে দেখে দর্শন জানতে পারেন ভুয়ো ট্রানজাকশনে মোট ৮৭ হাজার টাকা লোপাট হয়ে গিয়েছে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে। এর পরেই পুণের হাদাপসার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিশ্ববাজারে দাম কমলেও তেল মহার্ঘই
টোল প্লাজার সেই রসিদ
পুলিশের কাছে দর্শন জানান, তাঁর পরিশ্রমের সমস্ত টাকাই চুরি করে নিয়েছে সাইবার দস্যুরা। এই মুহূর্তে তাঁর অ্যাকাউন্টে কানাকড়িও নেই। কিন্তু কী করে ঘটল এমন ঘটনা? দর্শন জানান, টোল প্লাজায় কার্ড সোয়াইপ করার সময় তাঁর কাছ থেকে কার্ডের পিন চাওয়া হয়েছিল। প্রথমে পিন দিতে অস্বীকারও করেছিলেন দর্শন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি কখনওই কাউকে নিজের পিন বা কোড দিই না। নিজের হাতেই এই বিষয়টি রাখতে চাই। কিন্তু প্লাজার জানলাটা অনেক উঁচুতে ছিল। কার্ড মেশিন অবধি হাত পৌঁছচ্ছিল না। তা ছাড়া জানলার সামনে একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও ছিল,’’ পুলিশকে জানান দর্শন। প্লাজার ওই ঘটনার পরেই পাতিলের ইমেলে একটি মেল আসে। ৯ সেপ্টেম্বরের সেই মেলে জানানো হয়, ট্রানজাকশন হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর। তবে ব্যাঙ্কের তরফে কোনও ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) তাঁকে পাঠানো হয়নি বলেও জানান দর্শন। ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধেও পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন দর্শন।
আরও পড়ুন: এ শহরে স্কুলবাসের কর্মীরা কেমন, জানেন কি অভিভাবকেরা?
তবে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেটর রীতেশ ভাটিয়া জানান, কার্ড সোয়াইপ করার সময় কার্ডের ছবি তুলে রাখা এবং পিন নম্বর সেভ করে রাখা খুব একটা অসম্ভব ব্যাপার নয়। পাশাপাশি সাইবার ক্রিমিনালদের কাছে ওটিপি ছাড়া ট্রানজাকশন করা খুব একটা কঠিন ব্যাপারও নয়।
ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে হাদাপসার পুলিশ।