গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে যাচ্ছে বলে গত রবিবার ঘর থেকে বেরিয়েছিল ৯ বছরের মেয়েটি। আজ তার নিথর দেহ ফিরল হাতিছড়ার বাড়িতে। গত কাল ওই মেয়েটির খুনে অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে ধরেছিল পুলিশ। এ দিন তার শাগরেদকে পাকড়াও করে গণপিটুনির পর থানায় ঢোকালেন গ্রামবাসীরা।
পুলিশ জানায়, রবিবার ওই স্কুলপড়ুয়া দুপুর তিনটে নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়েছিল। মাকে বলে গিয়েছিল, ঘণ্টাখানেক পর স্যরের বাড়ি থেকে তাকে নিয়ে আসতে। মেয়েকে আনতে বিকেলে ওই মহিলা পৌঁছন অজয় রী-র বাড়িতে। গৃহশিক্ষক তাঁকে জানায়, তাঁর মেয়ে পড়তেই আসেনি। সারা রাত খোঁজ মেলেনি মেয়েটির। পর দিন তার বাবা মালুগ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানান।
পুলিশ তদন্তে নামে। কিন্তু তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে গ্রামবাসীদের মনে ক্ষোভ জমছিল। গত রবিবার অনেকেই ওই মেয়েটিকে অজয়ের বাড়িতে যেতে দেখেছিলেন। অজয়ের আচরণেও সন্দেহ ছড়ায়। গ্রামের বাসিন্দারা পঞ্চায়েত সভাপতি প্রাণতোষ শীলের দ্বারস্থ হন। গত কাল গ্রামে একটি সভা হয়। সেখানে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক রুমি নাথ। ক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হয় অজয়ের বাড়িতে। তল্লাশি চালিয়ে বাড়ির উঠোনে নতুন খোঁড়া একটি গর্তের হদিস মেলে। মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় মেয়েটির পচাগলা দেহ। জনতা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে সেখানে হাজির হন মালুগ্রাম ফাঁড়ির ইন-চার্জ মণ্টুরাম বরা। রাতেই অজয়কে পাকড়াও করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় সে খুনের কথা মেনে নেয়।
এ দিন ওই গ্রামে হাজির হয় অজয়ের শাগরেদ সুজিত রী। তার পোশাকে রক্তের দাগ ছিল। গ্রামবাসীরা সুজিতকে ধরেন। গণপিটুনির পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।