সারদা ঝাবর। ছবি: বিকাশ মালানির ফেসবুক পেজের সৌজন্য।
আর পাঁচটা আটপৌরে মহিলার মতোই ভরপুর ঘর-সংসার। এই প্রথম নিজের হাতে একটি ট্যাটু করিয়েছেন। আর তাতেই মিডিয়ায় বেশ হইচই ফেলে দিয়েছেন সারদা ঝাবর। ঘটিয়ে ফেলেছেন ‘সারদাকাণ্ড’!
তাঁর বয়স এখন ৯১। যে বয়সে অনেকেই জীবনকে বিদায় জানানোর দিন গোনেন, সেই বয়সেই এই ‘কাণ্ড’ ঘটিয়েছেন সারদা।
মুম্বইয়ের বাসিন্দা সারদা জানিয়েছেন, শিবের অন্ধ ভক্ত তিনি। ট্যাটু করানোর কথা মাথায় আসতেই ভেবেছিলেন, শিবের পোর্ট্রেট করাবেন। সেই মতো পৌঁছে যান দেশের সেলিব্রিটি ট্যাটু-আর্টিস্ট বিকাশ মালানির স্টুডিওয়। তবে শিবের পোর্ট্রেট নয়, বাঁ হাতে সারদা আঁকিয়ে নিয়েছেন ত্রিশূল-ওম-ডমরুর একটি চমকে দেওয়া কম্বিনেশন।
আরও পড়ুন
চলন্ত অটোয় শ্লীলতাহানি, অভিযোগে ধুন্ধুমার গড়িয়া-টালিগঞ্জ
সারদা জানিয়েছেন, তাঁর পুত্রবধূরও খুব ট্যাটু করানোর শখ। পুত্রবধূকে দেখেই অনেকটা উৎসাহ পেয়েছেন তিনি।
হাতে হঠাৎ ট্যাটু আঁকানোর সিদ্ধান্তটা শেষমেশ নিয়ে ফেললেন কেন?
মিডিয়ার প্রশ্নে সারদা বলেছেন, “আমাদের পরম্পরা বলে, পরিপূর্ণ জীবনযাপনের পর কোনও না কোনও উপায়ে জীবনকে কৃতজ্ঞতা জানানোটাও খুব জরুরি। সেই কারণেই এই ট্যাটু করানো। অসাধারণ লাগছে।”
আরও পড়ুন
মোদীর ‘শূর্পনখা’ মন্তব্যে উত্তাল সংসদ, তীব্র ক্ষোভ বিরোধীদের
নিজের বাঁ-হাতে এই ট্যাটুই করিয়েছেন সারদা ঝাবর। ছবি: সংগৃহীত।
সারদার মতো এত বয়স্ক ‘ক্লায়েন্ট’ আগে কখনও পাননি বিকাশ মালানি। সারদার হাতে ট্যাটু এঁকে খুবই তৃপ্ত বিকাশ। ২৮ জানুয়ারি ফেসবুকে সারদার ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।
বিকাশের কথায়, ‘‘৯১ বছরে নিজের প্রথম ট্যাটু করানোটা সত্যিই তারিফ করার মতো। আমার কেরিয়ারে এমন অভিজ্ঞতা আর কখনও হয়নি।’’ সারদার ভূয়সী প্রশংসা করে বিকাশ বলেছেন, একেবারে চুটিয়ে জীবনকে উপভোগ করছেন এই মহিলা। বেশ কিছু ইচ্ছাপূরণ হয়েছে। আরও কিছু কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। সমাজ কী ভাবল, তা নিয়ে যেন কোনও পরোয়াই করেন না ওই মহিলা।
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
বিকাশের মন্তব্য, ‘‘ভারতের মতো দেশে তো মহিলাদের জীবন সব সময়ই কারও না কারও নিয়ন্ত্রণে থাকে, রয়েছে। যাঁরা নতুনের খোঁজে সব সময়ই নিজের ইমেজ ভাঙছেন, সারদা যেন তাঁদেরই প্রতীক।’’