National News

প্রায় সব হাজার টাকাই জমা পড়ে গিয়েছে: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক

আরবিআইয়ের ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোটের ৯৯ শতাংশই খোলা বাজার থেকে তুলে নেওয়া গিয়েছে গত নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নোটবন্দি অভিযানে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৭ ১৯:৩০
Share:

১০০০ টাকার নোট।- ফাইল চিত্র।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নোটবন্দি অভিযান নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনার পালে হাওয়া তুলে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কের (আরবিআই) বার্ষিক রিপোর্ট।

Advertisement

আরবিআইয়ের ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোটের ৯৯ শতাংশই খোলা বাজার থেকে তুলে নেওয়া গিয়েছে গত নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নোটবন্দি অভিযানে। তার প্রেক্ষিতে বিরোধীদের প্রশ্ন, তা হলে কালো টাকা রুখতে নোটবন্দি অভিযান চালিয়ে কী লাভটা হল সরকারের? ‘কালো টাকা’র প্রায় সবটাই যদি ফিরে আসে সরকারের ঘরে, তা হলে সে টাকার রং ‘কালো’ হল কী ভাবে!

তা সে সাদাই হোক বা ‘কালো’, আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট বলছে, গত নভেম্বরে ৫০ দিনের নোটবন্দি অভিযানের পর থেকে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাজারে চালু পুরনো ১০০০ টাকার নোটের মাত্র ১.৪ শতাংশ সরকারের ‘ঘরে ফেরে নাই’। ২০১৬ সালের মার্চে বাজারে চালু ১০০০ টাকার নোটের (পুরনো) সংখ্যা ছিল ৬৩২ কোটি ৬০ লক্ষ। তার মধ্যে ৫০ দিনের নোটবন্দি অভিযান চালানোর পর সরকারের ঘরে ফেরেনি মাত্র ৮ কোটি ৯০ লক্ষটি ১০০০ টাকার নোট। যার মোট পরিমাণ ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

Advertisement

আরও পড়ুন- এ বার দিল্লির সঙ্গে সহযোগিতার পথে বেজিং

আরও পড়ুন- ‘বিপদে পড়লে আমার বাড়িতে আসুন’, সাহায্যের হাত বাড়াল মুম্বই

তার মানে, বাজারে চালু পুরনো ১০০০ টাকার নোটের মাত্র ১.৪ শতাংশ সরকারের ঘরে ফেরেনি। বিরোধীদের প্রশ্ন, তা হলে কি মাত্র ৮ হাজার ৯০০ কোটি টাকাই ‘কালো টাকা’ জমা হয়ে ছিল এ দেশে? তাই যদি হয়, তা হলে তো বলতে হবে নোটবন্দির ‘সিন্ধু’ অভিযান চালিয়ে কালো টাকা মিলেছে ‘বিন্দু’ই!

শুধু তাই নয়, গত ২ ডিসেম্বর রাজ্যসভায় দেওয়া তাঁর বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল জানিয়েছিলেন, বাজারে তখনও চালু ছিল ৫০০ টাকার (পুরনো) মোট ১ হাজার ৭১৬ কোটি ৫০ লক্ষটি নোট। আর চালু ছিল ১০০০ টাকার ৬৮৫ কোটি ৮০ লক্ষ নোট। পুরনো ৫০০ আর ১০০০ টাকার নোটের ওই সংখ্যা যোগ করলে ওই সময় বাজারে চালু ওই দু’ধরনের নোটের মোট মূল্য ছিল ১৫ লক্ষ ৪৪ হাজার কোটি টাকা।

বিরোধীদের অভিযোগ, সাড়ে ৯ মাস আগে রাজ্যসভায় দেওয়া কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রীর ওই হিসেবের সঙ্গে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বার্ষিক রিপোর্টের পরিসংখ্যান মিলছে না!

ভুলটা অঙ্কে কার হয়েছে বা কোনও নির্ভুল ‘অঙ্কে’ই সেই ‘ভুল’টা করা হয়েছে কি না, আরবিআইয়ের বার্ষিক রিপোর্ট বিরোধীদের সেই প্রশ্নগুলিকেই আরও এক বার উস্‌কে দিল!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন