সোনম রঘুবংশীর স্বামী রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন মোড়। —ফাইল চিত্র।
মেঘালয়ের মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে পরতে পরতে রহস্য। প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। এ বার উঠে আসছে জিতেন্দ্র রঘুবংশী নামে এক ব্যক্তির প্রসঙ্গ। রাজা রঘুবংশীর হত্যার নেপথ্যে তাঁরও কি কোনও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ যোগ ছিল? তদন্তকারীরা জিতেন্দ্রর ভূমিকাও আতশকাচের তলায় রেখে দেখছেন বলে সূত্রের খবর।
রাজার খুনের তদন্তে তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী, ‘প্রেমিক’ রাজ সিংহ কুশওয়াহা-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাঁচ জনকেই মেঘালয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে আট দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ। তাঁদের জেরা করে এই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এরই মধ্যে ভেসে উঠল জিতেন্দ্রর নামও। তাঁকে এখনও পর্যন্ত আটক বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, প্রাথমিক ভাবে ‘ভাড়াটে খুনি’দের টাকা দেওয়ার জন্য এই জিতেন্দ্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই ব্যবহার করেছিলেন সোনম।
এই তথ্য উঠে আসার পর থেকে মেঘালয়ের হত্যাকাণ্ডে আরও বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসতে শুরু করেছে। কে এই জিতেন্দ্র? সোনমের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক? ধৃত সোনমের ভাই গোবিন্দ রঘুবংশীর বক্তব্য, জিতেন্দ্র হলেন সোনমের তুতো ভাই। সোনমদের যে পারিবারিক ব্যবসা রয়েছে, সেখানেই কাজ করেন তিনি। কিন্তু টাকার লেনদেনের জন্য জিতেন্দ্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কেন ব্যবহার করেছিলেন সোনম? গোবিন্দের দাবি, সোনম যে ইউপিআই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতেন, সেটি জিতেন্দ্রের নামেই খোলা হয়েছিল। তবে কেন জিতেন্দ্রের নামে সেটি খোলা হয়েছিল, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি গোবিন্দ।
জিতেন্দ্রর নাম এই ভাবে উঠে আসার পরে রাজার খুনের পাশাপাশি সোনমদের পারিবারিক ব্যবসা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অন্যের নামে খোলা ইউপিআই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার নেপথ্যে কি ব্যবসায় হাওয়ালা যোগ? এমন প্রশ্নও উঠে আসছে। যদিও হাওয়ালা যোগের তত্ত্ব অস্বীকার করেছেন গোবিন্দ। তাঁর দাবি, পারিবারিক ব্যবসার সঙ্গে কোনও হাওয়ালা যোগ নেই। ব্যবসা সংক্রান্ত দৈনন্দিন খরচ চালানোর জন্যই জিতেন্দ্রের নামে খোলা ওই অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করা হত।