ওড়িশায় ফের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু কিশোরীর। —প্রতীকী চিত্র।
আবার ওড়িশা। বালেশ্বর, পুরী, কেন্দ্রাপড়ার পর এ বার ওড়িশার বরগড় জেলার একটি গ্রামের ফুটবল মাঠ থেকে উদ্ধার হল অগ্নিদগ্ধ এক কিশোরী। ওই অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে বাঁচানো যায়নি। কয়েক ঘণ্টা পরেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হল ওই কিশোরীর।
কী ভাবে ওই কিশোরীর গায়ে আগুন লাগল, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার পরিবার থানায় জানিয়েছে, তাদের কন্যা নিজেই গায়ে আগুন লাগিয়েছে। তবে এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। বরগড়ের পুলিশ সুপার অভিলাষের কথায়, ‘‘আমরা বিষয়টির তদন্ত করছি। ওই কিশোরীর মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেখান থেকে কোনও সূত্র পাওয়া যায় কি না, দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ গ্রামবাসীরা গ্রামের ফুটবল মাঠে বছর তেরোর অর্ধদগ্ধ কিশোরীকে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পান। দ্রুত তাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামবাসীরাই। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর।
মৃত কিশোরী সরকারি আবাসিক স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে সপ্তাহ দুই স্কুলে যেতে পারেনি। স্কুল থেকে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকত। সেখানেই থাকত তার মা এবং ভাইবোনেরাও। তার বাবা চেন্নাইয়ে শ্রমিকের কাজ করতেন।
গত এক মাসে এই নিয়ে চার ছাত্রীর অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে ওড়িশার বিভিন্ন জায়গা থেকে। প্রথমে ওড়িশার বালেশ্বরে কলেজের এক বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তুলে ক্যাম্পাসেই নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন এক ছাত্রী। ৯৫ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ভুবনেশ্বর এমসে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পরে পুরীতে এক কিশোরীও অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যায়। এক দল দুষ্কৃতী তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও পরে কিশোরী সেই বয়ান বদল করেছিলেন বলে দাবি করা হচ্ছে। দিল্লি এমসে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। গত সপ্তাহে কেন্দ্রাপড়া জেলায় নিজের বাড়ি থেকে এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ, তরুণীর উপর মানসিক নির্যাতন চালাতেন তাঁর প্রেমিক। এ বার বরগড় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক কিশোরীর।