শিলংয়ে নাবালিকা ধর্ষণ-কাণ্ডে সামনে এল নতুন সূত্র। পুলিশের দাবি, মেয়েটির আশ্রয়দাতারাই বছর ১৪-র মেয়েটিকে দেহব্যবসার জন্য বিভিন্ন লোকের কাছে নিয়ে যেত। ওই কিশোরী জানিয়েছে, ইছামতি থেকে তাঁর বাবা-মা তাঁকে শিলংয়ে মামনি পরভীন ও তার স্বামী সন্দীপ বিষয়ার কাছে পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর পর মেয়েটিকে দিয়ে ঘরের কাজ করাত মামনিরা। ১৩ বছর বয়স হওয়ার পর তাকে জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয়। লাবানের অতিথিশালা থেকে ১৫ ডিসেম্বর সুযোগ পেয়ে সে পালায়। দুই মহিলা তাঁকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেন। নিজের বাড়িতে ফোন করলে বাবা-মা তাকে থানায় যেতে বলেন। ওই দুই মহিলাই তাকে থানায় নিয়ে আসে। সেখান থেকে পুলিশ মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনায় ধৃত মাওহাটির বিধায়ক জুলিয়াস ডরফাং মেয়েটিকে চিনতে অস্বীকার করেছেন। কিন্তু জুলিয়াসের ছবি দেখে মেয়েটি দাবি করে, জুলিয়াস দু’বার তাকে ধর্ষণ করেছে। ওই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।