—প্রতীকী চিত্র।
সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে বার বার শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য উস্কেছেন। বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। রাজি না-হওয়ায় তাকে ধর্ষণ করেছেন বলেও অভিযোগ। অভিযুক্ত ওই স্কুলেরই প্রিন্সিপাল!
পুলিশ সূত্রে খবর, ১১ বছরের ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলের প্রিন্সিপালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
‘নির্যাতিতা’ ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, নানা সময়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল। যৌন হেনস্থা করেছেন বেশ কয়েক বার। ভয়ে প্রথমে মেয়ে কিছু বলতে পারেনি। কিন্তু গত ২৩ অগস্ট স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি শুরু করে মেয়ে। মহিলার কথায়, ‘‘ও স্কুল থেকে বাড়ি ফিরল বিধ্বস্ত অবস্থায়। কী হয়েছে, জিজ্ঞাসা করতেই কেঁদে ফেলে মেয়ে। তার পর বলে ওর যৌনাঙ্গে হাত দিয়েছেন প্রিন্সিপাল। ওর সঙ্গে আরও খারাপ কাজ করেছেন উনি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মেয়ে আমায় বলেছে, হেনস্থার পর ওকে কাউকে কিছু বলতে বারণ করেন প্রিন্সিপাল। মেয়েকে উনি, ‘আই লভ ইউ’ বলেছেন। এমনকি, বিয়ে করবেন বলেছেন!’’
ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করার সঙ্গে সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের শিক্ষা দফতরেও এ নিয়ে অভিযোগ করেছে। তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা দফতর। জেলা পর্যায়ের এক শিক্ষা আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ এখনও প্রমাণ হয়নি। তবে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থা এবং তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। তাই ওই প্রিন্সিপালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।’’
অন্য দিকে, পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারা-সহ পকসো আইনে মামলা রুজু হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তিনি গ্রেফতার হয়েছেন। ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।