—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পাখা বন্ধ করা নিয়ে বচসা বাবা ও পুত্রের মধ্যে! রাগের বশে ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে নিজের পুত্রকে খুন করার অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে। তা-ও আবার নাতির জন্মদিনে ঘটল এই অপ্রীতিকর ঘটনা!
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পটীওয়ালার কাছে মাল্লেওয়াল গ্রামে। ঘটনার দিন পুত্রের জন্মদিনের আয়োজন করেছিলেন জগপাল সিংহ। সেই জন্মদিনে অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে আমন্ত্রিত ছিলেন জগপালের বাবা মালকিৎ সিংহ। জানা গিয়েছে, ঘরে একটি টেবিল ফ্যান ছিল। তবে তার সামনের জালের অংশ ছিল না। জগপাল আশঙ্কা করেছিলেন, কোনও শিশু ভুলবশত চলন্ত পাখায় হাত দিয়ে দেবে। সেই আশঙ্কা থেকেই জগপাল তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, যখন তিনি বাড়ির বাইরে যাবেন, যেন অবশ্যই পাখাটা বন্ধ করে দিয়ে যান। কিন্তু মালকিৎ সেই আশঙ্কায় কর্ণপাত না-করায় পুত্রের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। যদিও পরিবারের অন্য সদস্যদের হস্তক্ষেপে সেই সময়ের মতো ঝামেলা থেমে যায়।
রাতে দু’জনে নিজেদের ঘরে ঘুমোতে যান। অভিযোগ, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় জগপালের ঘরের ঢুকে তাঁর মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেন মালকিৎ। পর পর তিন বার আঘাত করেন তিনি। জগপালের চিৎকারে অন্যেরা ছুটে আসেন। প্রথমে মালকিৎকে নিরস্ত্র করেন, তার পরে গুরুতর আহত অবস্থায় জগপালকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় নাভার সিভিল হাসপাতালে। পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জগপালকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় জগপালের।
স্থানীয় থানার এসএইচও গুরপ্রীত সিংহ জানান, পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যের ভিত্তিতে মালকিতের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মনে করা হচ্ছে, রাতে মত্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে জগপালকে খুন করেন তাঁর বাবা। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়। জগপালের দুই সন্তান রয়েছে। এক জনের বয়স তিন, অন্য জনের পাঁচ।