গরুকে বাঁচাতে মানুষ খুন করল গোরক্ষকেরা!

বিজেপি শাসিত রাজস্থানে গোরক্ষকরা পিটিয়ে মারল এক ব্যক্তিকে। অবৈধ ভাবে গরু-পাচার হচ্ছে— এই অভিযোগে জাতীয় সড়কের উপর চারটি গাড়ি পাকড়াও করে গোরক্ষকরা। গরু কেনার কাগজ দেখানোর পরেও শুরু হয়ে যায় ব্যাপক মারধর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

অলওয়র শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:১৬
Share:

বিজেপি শাসিত রাজস্থানে গোরক্ষকরা পিটিয়ে মারল এক ব্যক্তিকে। অবৈধ ভাবে গরু-পাচার হচ্ছে— এই অভিযোগে জাতীয় সড়কের উপর চারটি গাড়ি পাকড়াও করে গোরক্ষকরা। গরু কেনার কাগজ দেখানোর পরেও শুরু হয়ে যায় ব্যাপক মারধর। যার জেরে মারা যান পহেলু খান নামে এক ব্যক্তি। আহত আরও চার জন। তবে এতে রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুলাবচাঁদ কাটারিয়ার বক্তব্য নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মন্ত্রীর দাবি, ঘটনার পিছনে দু’পক্ষই দায়ী। এমনকী পুলিশও সেই ভাবেই মামলা দাঁড় করিয়েছে।

Advertisement

গো রক্ষার নামে আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা বারবারই ঘটছে। গত ১ এপ্রিল রাজস্থানের অলওয়র জেলার ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের বক্তব্য, গোরক্ষকদের একটি দল ৮ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে জাগুয়াস নামে একটি জায়গায় চারটি গাড়ি থামায়। অভিযোগ, সেগুলিতে গরু পাচার হচ্ছিল। গাড়িতে থাকা ব্যক্তিরা পাল্টা দাবি করেন, গরু কেনার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তাদের। সে সব দেখালেও রেহাই মেলেনি। শুরু হয়ে যায় ব্যাপক মারধর। পরে ওই ৫ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে হরিয়ানার বাসিন্দা পহেলু খানের মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, অলওয়রের কৈলাস হাসপাতালে আহতদের নিয়ে যাওয়া হলেও ঠিক চিকিৎসা হয়নি তাদের। সে জন্যই মৃত্যু হয়েছে পহেলু খানের। খানের সঙ্গীরাও হাসপাতাল ছে়ড়েছেন। তবে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

এক পুলিশ কর্তার বক্তব্য, ওই গোরক্ষকদের সঙ্গে বিশ্বহিন্দু পরিষদ, বজরং দলের যোগ রয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১০ জনকে ধরেছে পুলিশ। এর পরেও রাজস্থানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য বিতর্ক বাড়িয়েছে। তাঁর মন্তব্য, ‘‘দু’দিক থেকেই সমস্যা। রাজস্থানে গরু পাচার অবৈধ জেনেও অনেকে তা করছে। গো-ভক্তরা তাদের থামাতে চাইছে।’’ মন্ত্রীর মতে, আইন হাতে তুলে নেওয়া ঠিক নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘‘পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।’’ ধৃত ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন