বিজেপি-র সদর দফতরে ভাষণরত নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই।
বিধানসভা নির্বাচনের পর এক নতুন ভারতের জন্ম হয়েছে। এবং নির্বাচনের ঐতিহাসিক ফলাফলেই তা স্পষ্ট বলে দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর।
মোদী বলেন, “আমি এক নতুন ভারতকে দেখছি। এই নয়া ভারত যুবসমাজের স্বপ্ন। এই নতুন ভারত মহিলাদের সমস্ত আশা-আকাঙ্খা পূরণ করে। সর্বোপরি, এখানে গরিবের জন্য রয়েছে অফুরন্ত সুযোগ।”
হিন্দিবলয়ের প্রাণকেন্দ্র উত্তরপ্রদেশে ইতিহাস গড়ে জেতার পাশাপাশি আরও তিন রাজ্যের কুর্সি দখলের পথে বিজেপি। আর এই প্রায় ‘নিখুঁত’ ফলাফলে ফের উঠে এসেছে ব্র্যান্ড মোদীর ভূমিকার তত্ত্ব। রবিবার নয়াদিল্লিতে বিজেপি-র সদর দফতরে বিজয় ভাষণে তাই আগাগোড়াই আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। খানিকটা নির্বাচনী প্রচারের ঢঙেই দেশের উন্নয়নে আমজনতাকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন
লখনউয়ের তখ্ত দখল, ব্র্যান্ড মোদী নামক কড়াপাক এখনও সফল
চলতি বছরের শেষে শুধুমাত্র গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনই নয়, মোদীর পাখির চোখ আগামী ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন। আর সেই লক্ষ্যে নিম্নবর্গের মানুষজনের পাশাপাশি দেশের বিপুল সংখ্যক মধ্যবিত্তদের কথাও মনে রাখার কথা শুনিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “মধ্যবিত্তদের বোঝা কমাতে হবে। তাতে মধ্যবিত্তেরা আরও এগিয়ে যেতে পারবেন।” মোদীর দাবি, “নিম্নবর্গের মানুষজনের পরাক্রমের সঙ্গে মধ্যবিত্তদের আশা-আকাঙ্খার মিলন ঘটলে তবেই আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারব।”
নির্বাচনের অভূতপূর্ব ফলাফলে নিজের বিশ্বস্ত সেনাপতি অমিত শাহকে এ দিন কৃতিত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। অমিত শাহের সাংগঠনিক দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসার করে মোদী একে বিজেপি-র ‘সোনার সময়’ বলে আখ্যা দেন। তবে নতুন ভারতের কথা শোনানোর ফাঁকে অবশ্য রাজনৈতিক পণ্ডিতদের একহাত নিতেও ভোলেন তিনি। ভোটের ফলাফল দেখার পর তাঁদের আত্মসমালোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেও কটাক্ষ করেন নরেন্দ্র মোদী।