National news

কেরল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হল এই ঐতিহ্যশালী বাড়িটিকে!

পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে ৩০০ বছরের পুরনো বাড়িকে ১৫০০ মাইল দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল! কেরল বদলে মেডার নতুন ঠিকানা হল দিল্লি। মেডা ওই বাড়িটির নাম।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ১৩:৩৮
Share:

সেই বাড়িটি। ছবি: সংগৃহীত।

পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে ৩০০ বছরের পুরনো বাড়িকে ১৫০০ মাইল দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল! কেরল বদলে মেডার নতুন ঠিকানা হল দিল্লি। মেডা ওই বাড়িটির নাম।

Advertisement

অনেক ভালবেসে ৩০০ বছর আগে ওই নামটি রেখেছিলেন জর্জ ওমেনের পূর্বপুরুষ। ওমেনের যখন ১৬ বছর বয়স, পারিবারিক রীতি মেনে ওই বাড়িটির দায়িত্ব বর্তায় ওমেনের উপর। তখন ওমেনের পরিবার কেরলেই থাকতেন। কিন্তু দীর্ঘদিন হল কর্মসূত্রে আমেরিকায় থাকেন ওমেন। তিনি পেশায় এক জন চিত্রশিল্পী। মাঝে মধ্যে অবশ্য এ দেশে ফেরেন, কেরলেও যান। কিন্তু মেডায় একবার ঢুঁ মারার সময়টুকুও মেলে না। এ দিকে পরিবারের কেউই এখন আর কেরলে থাকেন না। উপরন্তু তাঁর বয়সও হয়েছে। ফলে বছরের পর বছর ফাঁকা হয়েই পড়ে রয়েছে বাড়িটি। তাই ওমেন বাড়িটি তাঁর এক ভারতীয় বন্ধু প্রদীপ সচদেবকে বেচে দেন। প্রদীপ তাঁকে জানান যে, কেরলে থেকে বাড়িটির রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। তাই বাড়িটিকে তিনি দক্ষিণ দিল্লির সাধনা গ্রামে নিয়ে যেতে চান। সেখানেই বাড়িটিতে পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করবেন ঠিক করেন। সেই প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান ওমেনও।

সম্প্রতি বাড়িটির প্রত্যেকটি অংশ আলাদা করে গাড়িতে করে তা দিল্লি আনা হয়। তারপর খুব সাবধানে একে একে অংশগুলোকে জুড়ে দিয়েই ফের তৈরি হয়ে যায় মেডা। একদম আগের মতো। শুধু পর্যটকদের সুবিধার্থে তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ এবং উন্নত প্রযুক্তির শৌচাগার যোগ করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: তৃতীয় দফায় গর্ভবতী, আশ্রয় জুটল ভবঘুরের

কেরলের মেপরাল গ্রামে বাড়িটি ছিল। তিনটি রুম এবং দুটি চওড়া বারান্দা নিয়ে আগাগোড়া কাঠের বাড়িটি ২,০০০ বর্গ ফুট এলাকা নিয়ে তৈরি। নদী থেকে অনেকটা উঁচুতে থাকায় বন্যার সময় আশেপাশের গ্রামের লোকেরা এখানেই আশ্রয় নিতেন। বাড়িটির ঠিকানা বদলে যাওয়াতে তাই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসীদের জন্য খারাপ লাগছে ওমেনেরও। কিন্তু পারিবারিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে এটা তাঁকে করতেই হত! না হলে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বাড়িটাকে আর টিকিয়ে রাখা যেত না বলে তিনি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement