উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন নম্রথাং মার। তার পরিপ্রেক্ষিতে আজ পার্বত্য পরিষদের বিশেষ অধিবেশনও স্থগিত হয়ে যায়।
উত্তর কাছাড় পার্বত্য স্বশাসিত পরিষদের মুখ্য কার্যবাহী সদস্য দেবজিৎ থাওসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পরিষদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন অসমের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালাকৃষ্ণ আচার্য। এ দিন বিশেষ অধিবেশনের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেন অধ্যক্ষ।
এ দিন সকাল ১১টায় পরিষদ সচিবালয়ে ওই অধিবেশন শুরু হয়। পার্বত্য পরিষদে বিজেপির ১৮ জন সদস্যের পাশাপাশি কংগ্রেসের ১ জন ও ১ নির্দল সদস্যও থাওসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলেন। এর পরই আচমকা অধ্যক্ষ নম্রথাং মার ঘোষমা করেন— তাঁর পক্ষে আর অধিবেশন চালানো সম্ভব নয়। তিনি অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন। এর পরই পরিষদের সচিব দেবানন দাওলাগাপুর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন নম্রথাং। অধিবেশন এ দিনের জন্য মুলতবি করা হয়।
পরিষদে এ বার নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচন করতে হবে। রাজ্যপাল এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করার পর ওই প্রক্রিয়া শুরু হবে। অধ্যক্ষ ছাড়া পরিষদের অধিবেশন চালানো সম্ভব নয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, পরিষদের অধ্যক্ষ নির্বাচনের পর বিজেপি ও অগপ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে বলা হতে পারে।
বিজেপি সূত্রে খবর, অধিবেশন চালানোর জন্য ‘প্রোটেম স্পিকার’ হিসেবে নিযুক্ত করতে বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে এক জনের নাম রাজ্যপালের কাছে পাঠানোর চিন্তাভাবনা চলছে। এ দিনের অধিবেশনে ৩০ সদস্যের পার্বত্য পরিষদে বিজেপির ১৮, কংগ্রেসের ২, অগপর ৪ এবং এক জন নির্দল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে অগপতে সামিল হওয়া দেবজিৎ থাওসেন, লালজোসয়া বেইতে, পাউদামিং নৃয়ামে, এল লিমা কেভম ও কংগ্রেস সদস্য নির্মল লাংথাসাকে দেখা যায়নি। জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা পরিষদের কংগ্রেস সদস্য মহেন্দ্র কেম্প্রাই ও নির্দল কুলেন্দ্র দাওলাগাপু বিজেপিকে সমর্থন করেছে। মহেন্দ্র কেম্প্রাই জানান, অচলবস্থা কাটিয়ে স্থায়ী পরিষদ গঠনের কথা ভেবেই তিনি বিজেপিকে সমর্থন করেছেন। পরবর্তী সিইএম-এর দৌঁড়ে এগিয়ে থাকা নিরঞ্জন হোজাই বলেন, ‘‘অধিবেশন বানচাল করতেই ইস্তফা দিয়েছেন নম্রথাং মার। রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চাইব।’’