ছররা তুলতে ওয়ানিই ভরসা

সব চেয়ে বেশি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে শ্রীনগরের আনচার এলাকায়। কিন্তু হাসপাতালে পুলিশের কড়া নজরদারি। একটু সেরে উঠলেই তারা হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করছে ছররা বেঁধা তরুণদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:১০
Share:

ফাইল চিত্র।

সঙ্গের ব্যাগে সন্না, ব্লেড, বহুল পরিচিত একটি প্রতিষেধক তরলের শিশি আর তুলোর বান্ডিল। তাই নিয়ে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন সরফরাজ আহমেদ ওয়ানি। ডাক্তার নন, তরুণ ওয়ানি বিএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্র। ডাক পেলেই ছুটে যান শরীর থেকে ছররা তুলতে। বলেন, ‘‘ছররা বিঁধলে অনেকটা পুড়ে যাওয়ার মতো অনুভূতি হয়। কারণ বন্দুক থেকে বেরোনোর সময়ে সেগুলো থাকে গনগনে গরম। গায়ে লাগলে এক রকম। সমস্যা হয় চোখে বিঁধে গেলে। অন্ধও হয়ে যান মানুষ।’’

Advertisement

সব চেয়ে বেশি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে শ্রীনগরের আনচার এলাকায়। কিন্তু হাসপাতালে পুলিশের কড়া নজরদারি। একটু সেরে উঠলেই তারা হাসপাতাল থেকে গ্রেফতার করছে ছররা বেঁধা তরুণদের। তাই ঘরেই চিকিৎসা করা হচ্ছে তাঁদের। ভরসা ওয়ানি। তিনি বলছেন, ‘‘পুরো কাজটি করতে হয় অ্যানেস্থেসিয়া ছাড়া। ছররা বেঁধার যন্ত্রণা আমিও অনুভব করি।’’ এক এক জনের শরীরে অন্তত ৩০টি করে ছররা বেঁধে। তুলতে লাগে ঘণ্টা তিনেক। তাঁর আক্ষেপ, কুলগাম, পুলওয়ামা, শোপিয়ান বা অনন্তনাগে রোজ ছররার শিকার হচ্ছেন অজস্র তরুণ। কিন্তু তাঁদের চিকিৎসায় যেতে পারছেন না তিনি। হতাশ গলায় বলেন, ‘‘গ্রেফতার হতে পারি যে কোনও দিনই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন