ছবি: সংগৃহীত।
আধার কার্ডের জন্য আমার, আপনার জমা দেওয়া গোপনীয় ব্যক্তিগত তথ্যাদি অন্য কেউ জেনে ফেলতে পারে। এই অভিযোগ খণ্ডাতে, এ বার বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন আধার কর্তৃপক্ষ ‘ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (ইউআইডিএআই)।
কেউ যাতে অজান্তে সবটা জেনে না ফেলতে পারে, সে জন্য এ বার আধার-তথ্যের বাড়তি নিরাপত্তায় চালু হচ্ছে ‘ফেসিয়াল অথেনটিকেশন’ পদ্ধতি।
আধার ভেরিফেকেশনের জন্য নথিভুক্ত ডিভাইসে আগামী ১ জুলাই থেকে ওই নতুন ফিচার কার্যকর হবে বলে সোমবার ইউআইডিএআই-এর তরফে জানানো হয়েছে।
এখন আধার কার্ডের জন্য নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নেওয়া ও চোখের মণি (আইরিস)-র ছবি তোলা হয়। এগুলিকে বলা হয়, ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন’ পদ্ধতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত কয়েক বছরে বহু ক্ষেত্রে সংশয় দেখা দিয়েছে এই ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন’ পদ্ধতি সম্পূর্ণ নিরাপত্তায় মোড়া কি না, তা নিয়ে। বিশেষ করে, আধার কার্ড রয়েছে এমন জঙ্গি, কুখ্যাত অপরাধীদের হদিশ পেতে গিয়ে এ ব্যাপারে বহু বার নাজেহাল হতে হয়েছে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকে। তার ফলে, তদন্তে দেরি হয়েছে। কারণ, বয়স বা অসুস্থতার কারণে কারও আঙুলের ছাপ বদলে যেতে পারে। কোনও জটিল অসুখে চোখের মণির আকার, আকৃতিও সময়ের সঙ্গে বদলাতে পারে। আর সে কারণেই ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন’ পদ্ধতির অন্যতম ‘হাতিয়ার’ আঙুলের ছাপ নিয়ে আমজনতার একাংশ সংশয় প্রকাশ করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন- মোদীকে ‘বিপ্লবী’ বললেন নেতানিয়াহু, সই ৯টি ‘মউ’
আরও পড়ুন- খতম ছয় ‘ফিদায়েঁ’ জঙ্গি, অনুপ্রবেশের ছক বানচাল
আধার কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘ফেসিয়াল অথেনটিকেশন’ পদ্ধতি সেই সংশয় দূর করবে। আধার-তথ্যাদির নিরাপত্তা অনেক বেশি সুনিশ্চিত হবে। এই পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ ও চোখের মণির ছবি নেওয়ার মতো ‘বায়োমেট্রিক আইডেন্টিফিকেশন’-এর চালু পদ্ধতির পাশাপাশি করা হবে ‘ফেসিয়াল অথেনটিকেশন’ও।
আধার-তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে সাম্প্রতিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিনকয়েক আগে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, আধার কার্ডের জন্য নাগরিকদের জমা দেওয়া তথ্যাদি পুরোপুরি সুরক্ষিত হয়েছে। হাজার চেষ্টাতেও সেই তথ্য অন্য কারও পক্ষে জেনে ফেলা একেবারেই অসম্ভব।
ঘটনা হল, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর ওই বক্তব্যের দিনকয়েকের মধ্যেই নাগরিকদের ব্যাক্তিগত তথ্যাদির গোপনীয়তা সুনিশ্চিত করতে ১৬ ডিজিটের ‘ভার্চুয়াল আইডি’ চালুর ঘোষণা করেন আধার কর্তৃপক্ষ। জানানো হয়, সিম কার্ড ভেরিফিকেশনের মতো বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে ১২ ডিজিটের আধার নম্বরের পরিবর্তে ১৬ ডিজিটের ওই ‘ভার্চুয়াল আইডি’ ব্যবহার করা যেতে পারে।
তবে ‘ফেসিয়াল অথেনটিকেশন’ পদ্ধতির ‘চালিকাশক্তি’ প্রযুক্তিটা কী, তা কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, নিরাপত্তার কারণেই আধার কর্তৃপক্ষের তরফে তা জানানো হয়নি।