Shraddha Walker Murder

স্নানঘরে কলের নীচে শ্রদ্ধার দেহ কাটতে বসেছিলেন আফতাব! জলে ধুয়ে যাচ্ছিল রক্ত

পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাবের ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে চাপ চাপ রক্তের দাগ খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। প্রেমিকার দেহের একটি টুকরো তিনি রান্নাঘরে রেখেছিলেন। রক্তের দাগ আর পরিষ্কার করা হয়নি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২২ ২১:০৯
Share:

দিল্লি হত্যাকাণ্ডে নতুন তথ্য। —ফাইল ছবি

ফ্ল্যাটের স্নানঘরে শ্রদ্ধার দেহ কাটতে বসেছিলেন আফতাব, এমনটাই দাবি পুলিশের। আফতাবকে জেরা করে এই তথ্য তারা জানতে পেরেছে। রক্ত যাতে সহজেই ধুয়ে যায়, তা নিশ্চিত করতে স্নানঘরটিকেই বেছে নিয়েছিলেন তিনি। এমনটাই দাবি পুলিশের।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাবের ফ্ল্যাটের রান্নাঘরে চাপ চাপ রক্তের দাগ খুঁজে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তাঁদের দাবি, আফতাবকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, প্রেমিকার দেহের একটি টুকরো তিনি রান্নাঘরে রেখেছিলেন। সেই রক্তের দাগ আর পরিষ্কার করা হয়নি। তাই তা থেকে গিয়েছে। সারা ফ্ল্যাটে অন্য সব জায়গা থেকে রক্ত ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ লোপাটের জন্য রাসায়নিক ব্যবহার করেছিলেন আফতাব। হাইপোক্লোরিক অ্যাসিড দিয়ে রক্ত মুছেছিলেন তিনি।

আফতাব পুলিশকে জানিয়েছেন, শ্রদ্ধাকে খুনের পর তিনি স্নানঘরে নিয়ে যান দেহ। সেখানে কল খুলে তার নীচে বসে দেহ কাটতে শুরু করেন। সেখানেই মোট ৩৫ টুকরো করা হয় শ্রদ্ধার দেহ। গোটা প্রক্রিয়ায় লেগেছিল ১০ ঘণ্টা। পুলিশ সূত্রে এ-ও জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধার দেহ কাটতে কাটতে মাঝে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন আফতাব। তিনি কিছু ক্ষণের জন্য বিশ্রাম নিয়েছিলেন। উঠে বিয়ার খান। ধূমপানও করেন। তার পর আবার কাটতে বসেন।

Advertisement

দেহ কেটে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন আফতাব। প্রতি দিন একটি একটি করে টুকরো ফেলে আসতেন নিকটবর্তী জঙ্গলে। তাঁদের ফ্ল্যাটের পাশের নর্দমা থেকে হাড়গোড় উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশের অনুমান, সেগুলি শ্রদ্ধার হাড়। গত ১৮ মে প্রেমিকা তথা লিভ-ইন সঙ্গীকে খুন করেন আফতাব। ৬ মাস পর তাঁর কীর্তি প্রকাশ্যে এসেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন